দুদকের বরখাস্ত পরিচালক এনামুল বাছিরের জামিন আদেশ প্রত্যাহার

enamul basir
খন্দকার এনামুল বাসির। ছবি: সংগৃহীত

৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের জামিনের আদেশ প্রত্যাহার করেছে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।

আজ বুধবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এ ছাড়া এনামুল বাছিরের আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী কোনো লিখিত জামিন আবেদন জমা না দেওয়ায় তার আপিল আবেদনও কার্য তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।

তিনি জানান, হাইকোর্ট বেঞ্চ এনামুল বাছিরের আইনজীবী ফারুক আলমগীরকে বলেছে, যে এই আদালত গত মঙ্গলবার তার মক্কেল এনামুল বাছিরের মৌখিক যুক্তির ওপর নির্ভর করে জামিন মঞ্জুর করেছে। আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী লিখিত কোনো জামিন আবেদন জমা দেননি, যা অপরাধ।

এ ছাড়া আইনজীবী এই আদালতের অনুমতি ছাড়াই বেঞ্চ অফিসারের কাছে একটি জামিন আবেদন জমা দিয়েছিলেন, যা আরেকটি অপরাধ।

আদেশের পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, খন্দকার এনামুল বাছিরের আইনজীবী জামিনের দরখাস্তটি নথিতে না দিয়েই জামিন শুনানি করেছেন। এই কারণে আদালত শাস্তি স্বরুপ এনামুল বাছিরের জামিন আদেশ প্রত্যাহার (রিকল) পূর্বক মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ (আউট অব লিস্ট) দিয়েছেন।

যোগাযোগ করা হলে আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এ মামলার ক্ষেত্রে 'মিসফাইল' হয়েছে।

ফারুক আলমগীর চৌধুরী আরও বলেন, তিনি কয়েকদিনের মধ্যে এনামুল বাছিরের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করবেন।

হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার এনামুল বাছিরকে ঘুষের মামলায় জামিন দেয়। যেখানে তাকে ৮ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত এনামুল বাছির ও পুলিশের সাময়িক বরখাস্ত উপমহাপরিদর্শক মিজানুর রহমানকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেন মামলায় যথাক্রমে ৮ বছর ও ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়। 

মিজানের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার দায়ে এনামুলকে ৩ বছর এবং অর্থ পাচারের দায়ে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে, এই সাজা একই সঙ্গে কার্যকর হবে বলে জানায় বিচারিক আদালত।

এনামুলকে ঘুষ হিসেবে ওই টাকা দেওয়ার দায়ে মিজানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার একটি আদালত।

২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদক পুলিশের বরখাস্ত ডিআইজি মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ঢাকায় তাদের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে মামলাটি দায়েরে করে।
 

 

 

Comments

The Daily Star  | English

No battery-run rickshaws on major Dhaka roads: DNCC administrator

"A high-level committee will be formed shortly to prepare policies and finalise the standard model"

8m ago