বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচনে কমিশন গঠনের দাবি

ভার্চুয়াল আলোচনা
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের ভার্চুয়াল আলোচনা সভা। ছবি : সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পেছনের ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচনে দ্রুত একটি কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ। শনিবার সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সমন্বয় কমিটি আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের ভার্চুয়াল আলোচনায় এ দাবি উত্থাপন করা হয়।

আলোচনায় নেতৃবৃন্দ বলেন, সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা আর ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন এখন সময়ের দাবি। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচারের প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে। এর পরের অধ্যায়, হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কুশীলব কারা ছিলেন, কে পটভূমি রচনা করেছিলেন, ষড়যন্ত্রে কারা জড়িত ছিল, কারা খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে, তাদের চিহ্নিত করা। 

'তা না হলে ষড়যন্ত্রকারীদের অনুসারীদের হাতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায় এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নও নষ্ট হতে পারে,' বলেন তারা।

আলোচনার প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, 'বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ছিল মূলত একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতাকারীদের সম্মিলিত ষড়যন্ত্রের ফল। জাতির পিতার রক্তঋণ শোধ করার তাগিদেই ষড়যন্ত্রকারীর মুখোশ উন্মোচন হওয়া দরকার।'

তিনি দেশবিরোধীদের সব ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দেশ ও জনগণের স্বার্থে আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে পুনরায় নির্বাচিত করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য ইউরোপের আওয়ামী পরিবারের প্রতি আহবান জানান। 

সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের প্রধান সমন্বয়ক কে এম লোকমান হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সভাপতি এম এ লিঙ্কন মোল্লার পরিচালনায় ভার্চুয়াল আলোচনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি ও কথা সাহিত্যিক অধ্যাপিকা জুবাইদা গুলশানারা হেনা এবং প্রধান বক্তা ছিলেন ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সমন্বয়ক হুমায়ূন কবির।

আলোচনায় যুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন ফ্রান্সের আব্দুল্লাহ আল বাকী ও সুনাম উদ্দিন খালেক, বেলজিয়ামের বজলুর রশিদ বুলু, ইতালি থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব হোসেন, জার্মানির  ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়া, হাফিজুর রহমান আলম ও সেলিম ভুঁইয়া, অস্ট্রিয়ার জান্নাতুল ফরহাদ ও রানা বক্তিয়ার, স্পেনের আক্তার হোসেন আতা, ডেনমার্কের মোহাম্মদ শহীদ ও সামি দাস, ফিনল্যান্ডের পলাশ কামালী ও শাখাওয়াত হোসেন, আয়ারল্যান্ডের রফিক খান, সুইডেনের জুলফিকার হায়দার, গ্রিসের ফকির মোহাম্মদ রিপনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আওয়ামী লীগ নেতারা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সব সদস্যসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালোরাতের সব শহীদ, জাতীয় চার নেতা এবং ২১ আগস্টের গ্ৰেনেড হামলায় নিহত সব শহীদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Economic expectations: Did govt fall short?

When an interim government was sworn into office following the ouster of the Awami League regime just 100 days ago, there was an air of expectation that the Prof Muhammad Yunus-led administration would take steps to salvage a scam-ridden financial sector and rescue an ailing economy.

8h ago