রাতে অভয়ারণ্যের গাছ কেটে পার্কিং লট করল বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ

রাতের আঁধারে চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের শতাধিক গাছ কেটেছে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে দর্শনার্থীদের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য রাতের আঁধারে চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের শতাধিক গাছ কেটেছে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।

এ বছরের মার্চের ৩ তারিখে রাতের আঁধারে এ গাছ কাটার ঘটনা ঘটলেও সেটাকে দীর্ঘদিন ধরে ধামাচাপা দিয়েছে সাফারি পার্কের কর্মকর্তারা। সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারের হাতে গাছ কাটা ও কাটা গাছ সরিয়ে রাখার ছবি এসেছে।

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ১২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন কাজ চলছে গত এক বছর ধরে। উন্নয়ন কাজের অংশ হিসেবে তৈরি হচ্ছে বাস পার্কিং। শুধু বাস পার্কিং নয়, পার্কের ভেতরেও উন্নয়ন কাজের জন্য নানা জায়গায় মাদার ট্রিসহ বেশ কিছু গাছ কাটার ঘটনা ঘটেছে।

ছবি: সংগৃহীত

ডুলাহাজারা কলেজের দক্ষিণ পাশে চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের মধ্যে থাকা এ গাছগুলো কেটে প্রায় এক একরের মত জায়গায় তৈরি হয়েছে পার্কিং লট। গাছ কাটার চিহ্ন মুছে ফেলতে এক্সকেভেটের দিয়ে তুলে ফেলা হয়েছে গাছের গুড়ি। বেশকিছু গাছ ফেলে রাখা হয়েছে পার্কের প্রবেশ পথের সঙ্গে থাকা টয়লেটের পাশে।

বনবিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনে কোনো ধরনের উন্নয়ন কাজের জন্য গাছ কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে। বিশেষ ক্ষেত্রে গাছ কাটার প্রয়োজন হলে প্রধান বন সংরক্ষকের অনুমতি ছাড়া সেটা করা যাবে না।

জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাসের পার্কিংয়ের জন্য প্রায় ৬৫টি মত আকাশমনি গাছ ও ২টি আম গাছ কাটতে হয়েছে।'

তিনি গাছগুলোর বয়স বেশি না বলে দাবি করেন।

'জবরদখল রোধ করতে গাছগুলো মূলত আনঅফিসিয়ালি রোপণ করা হয়েছিল। এগুলোর বয়স ৩ থেকে ৪ বছর হবে। গাছ কাটতে যে পর্যায়ের গাছের জন্য অনুমোদন নিতে হয়, এগুলো সে পর্যায়ের গাছ না, তিনি যোগ করেন।

বনবিভাগের অধীনে চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কসহ চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের দায়িত্বে রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

S Alam threatens int'l legal action against govt over asset freezing: FT

Alam says his family's bank accounts were frozen, they were subjected to travel bans, and they lost control of their companies, all while facing investigations for alleged money laundering without formal notification.

7m ago