ছাত্র রাজনীতি বন্ধে ‘বুয়েট কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা প্রশ্নবিদ্ধ’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
তারা বলছেন, বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকার পরও সরকারি দলের সহযোগী ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাসে জানান দিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আজ শনিবার ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক ব্যানারে বুয়েটে একটি কর্মসূচির আয়োজন করে। এ নিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন আলোচনা সভায় অংশগ্রহণকারীরা।
প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীরা পরে সংবাদমাধ্যমে লিখিত বিবৃতি দিয়ে তাদের অভিযোগের কথা জানান। তারা বলেন, একটি সংগঠনকে কর্মসূচির অনুমতি দেওয়ায় বুয়েট কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মীর হাতে নিহত হওয়ার পর ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষার্থীরা বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকার পরও আজ শনিবার অডিটোরিয়াম কমপ্লেক্সে সেমিনার হলে ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দের একটি ব্যানার দেখা যায়। এর আগে গত ২ জুলাই কাজী নজরুল ইসলাম হলে আরিফ রায়হান দীপের স্মৃতিফলকে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ৮ জুন সাবেকুন নাহার সনির স্মৃতিফলকে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের পক্ষে ব্যানার টাঙানো হয়।
লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়, 'এসব কার্যক্রমের ব্যাপারে আমরা, বুয়েটের সকল সাধারণ শিক্ষার্থী কর্তৃপক্ষের অবস্থান এবং সুস্পষ্ট জবাব আশা করছি।'
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার এবং ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানকে একাধিকবার কল করলেও তারা রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ছাত্র কল্যাণ পরিচালক (ডি এস ডব্লিউ) অধ্যাপক মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, 'বলা যায়, তারা আমাদের থেকে অনুমতি নিয়েছে, আবার নেয়ওনি। অনুমতি নেওয়ার সময় জানিয়েছে, তারা সাবেক শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে পুনর্মিলনী করবে। সে কারণে আমরা অনুমতি দেই। তারা বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের ব্যানারে প্রোগ্রাম করতে গেলে শিক্ষার্থীরা বাধা দেয়।'
Comments