বিপিসির লাভের টাকা উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। স্টার ফাইল ছবি

যখন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন লাভ করেছিল, তখন জ্বালানি তেলের দাম কমায়নি। যখন লস করে তখন বাড়ায়—সমালোচকদের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিপিসি আগে যে লাভ করেছে, সেগুলো বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যবহার করা হয়েছে।

আজ শনিবার প্রতিমন্ত্রীর বাসভবনে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

নসরুল হামিদ আরও বলেন, গত ফেব্রুয়ারি থেকে বিপিসি ৮ হাজার কোটি টাকার উপরে লস করেছে। ওই টাকা তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে চলে গেছে। এখন অনেকে বলেন, লাভের টাকা কি আপনারা ধরে রাখছেন? আমরা লাভের টাকা তো ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপলাইনে খরচ করে ফেলেছি।

'আমরা গভীর সমুদ্র থেকে পাইপলাইনে তেল নিয়ে আসতেছি, সেখানে খরচ করছি। ভবিষ্যতে আমরা রিফাইনারি করবো, সেই জায়গাতে আমরা কনসালটেন্সিতে খরচ করেছি প্রচুর টাকা। বিভিন্ন প্রজেক্টে খরচ করছি যেন নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহটা রাখা যায় কিন্তু তেলের দাম তো নিয়ন্ত্রণ করে বিশ্ববাজার,' বলেন তিনি।

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'প্রতি ব্যারেল ডিজেলের দাম মাস দুয়েক আগে ১৭০ ডলারে পৌঁছে গিয়েছিল। তখন যদি দাম সমন্বয় করা হতো, তাহলে ডিজেলের দাম হতো ১৬০ টাকা। এখন কিছুটা কমে ১৩৯ ডলারে নেমেছে। আমরা চিন্তা করলাম, এখন যদি দাম সমন্বয় করি তাহলে তো আমার ১৬০ টাকা করতে হচ্ছে না। এখন বিপিসির আমদানি খরচ হচ্ছে প্রতি লিটারে ১২২ টাকা। সেখান থেকেও কমিয়ে ১১৪ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।'

তিনি বলেন, '১১৪ টাকা করার পরও কিন্তু বিপিসির লস করতে হবে। যদি প্রতি ব্যারেলে ৭৯ ডলার থাকে, তাহলে বিপিসির লস হয় না। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশেও কিন্তু দাম ১১৪ টাকা। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১২২ টাকা তেলের দাম, আমেরিকায় যেটা ৫৫ টাকা ছিল, এখন ১৫৫ টাকা। এটা অস্বাভাবিক একটি পরিস্থিতি। আমি মনে করি, এই সমন্বয়টা সবাইকে কষ্ট দেবে; এটা আমি স্বীকার করে নিচ্ছি কিন্তু উপায় কী?'

তিনি বলেন, আমরা যদি এই সমন্বয়টা না করতাম তাহলে বিপিসির পক্ষে অসম্ভব ছিল তেল ইমপোর্ট করা। আরেক দিকে ডলারের দামও বৃদ্ধি পেয়ে গেছে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অকটেন ও পেট্রলের দাম বাড়ানো হয়েছে, কারণ অকটেন খুব অল্প পরিমাণ ব্যবহার করা হয়। কিছুটা আমদানি করি, কিছুটা উৎপাদন করি। দুটি সমন্বয় করেই অকটেন সরবরাহ করা হয়। আগে অকটেন আমরা পুরোটাই উৎপাদন করতে পারতাম কিন্তু অকটেনের চাহিদা বেড়ে গেছে। আর অকটেন ও পেট্রলের দামটা যদি বেশি পার্থক্য থাকে, তাহলে ভেজাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই কারণে আমরা এই পরিস্থিতিতে যেতে বাধ্য হয়েছি।

Comments

The Daily Star  | English

Matarbari project director sold numerous project supplies

Planning Adviser Prof Wahiduddin Mahmud today said the Matarbari project director had sold numerous project supplies before fleeing following the ouster of the Awami League government on August 5.

1y ago