মোংলায় পৌঁছেছে রূপপুর ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামালবাহী ২টি জাহাজ

শুক্রবার বিকেলে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী এমভি ড্রাগন বল জাহাজটি মোংলা বন্দরে পৌঁছায়। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর দ্বিতীয়বারের মতো রাশিয়া থেকে রূপপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫ হাজার ৬০১ মেট্রিকটন যন্ত্রপাতি নিয়ে একটি জাহাজ মোংলায় পৌঁছেছে। আজ শুক্রবার বিকেলে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী এমভি ড্রাগন বল জাহাজটি মোংলা বন্দরে পৌঁছায়।

এর আগে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গেল গত ১ আগস্ট বিকেলে প্রথমবারের মতো মোংলা বন্দরে পৌঁছায় একটি রুশ জাহাজ। ওই জাহাজে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের  ৩৩২৮.২৩৭ মেট্রিকটন যন্ত্রপাতি ছিল।

এছাড়া, আজ বিকেলে ইন্দোনেশিয়া থেকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৩৬ হাজার মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে প্রথমবারের মতো মোংলা বন্দরে আসে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ 'এমভি আকিজ হেরিটেজ'।

এর আগে, এমভি আকিজ হেরিটেজ গত ২০ জুলাই ইন্দোনেশিয়ার তানজুম ক্যাম্পা বন্দর থেকে ৫৪ হাজার ৬৫০ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে ৩১ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়। চট্টগ্রাম বন্দরে ১৮ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন কয়লা খালাস করার পর ৩টি লাইটার জাহাজে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আনা হয়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে লাইটার জাহাজ ৩টি রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজস্ব জেটিতে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আনোয়ারুল আজিম ।

মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, 'রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রথমবারের মতো কয়লা আমদানি করা হয়েছে। এই কয়লা এসেছে মোংলা বন্দরের মাধ্যমে। অন্যদিকে একই দিনে রাশিয়া থেকে আমদানি করা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতি নিয়ে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি ড্রাগন বল মোংলা বন্দরে এসে নোঙর করেছে।'

তিনি আরও বলেন, 'এটা আমাদের জন্য সুখবর; এটি মোংলা বন্দরের জন্য সাক্ষী হয়ে থাকবে। কারণ দেশে চলমান দুটি মেগা প্রকল্পের পণ্য একদিনে মোংলা বন্দর দিয়ে এসেছে। আশা করছি, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রকল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল বা পণ্য ভবিষ্যতে মোংলা বন্দর দিয়ে আসবে।'

Comments

The Daily Star  | English
India visa restrictions for Bangladeshi patients

A wake-up call for Bangladesh to reform its healthcare

India’s visa restrictions on Bangladeshi nationals, while initially perceived as a barrier, could serve as a wake-up call for Bangladesh to strengthen its healthcare system and regain the confidence of its patients.

12h ago