রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র: সেপ্টেম্বরে প্রথম ইউনিট চালুর ঘোষণা দিতে পারেন হাসিনা-মোদি

নির্মাণাধীন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যুৎ খাতে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার অংশ হিসেবে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটটি অক্টোবরের শুরুতে বাণিজ্যিকভাবে চালু হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

১ হাজার ৩২৯ (২x৬৬০) মেগাওয়াট কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ সফলভাবে ১৫ আগস্ট জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়।

প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ এর কাজ শেষ হওয়া এবং 'সফল সমন্বয়'-এর পর বর্তমানে আরও সমন্বয় সম্পর্কিত কার্যক্রম হাতে নেওয়া হচ্ছে। এরপর ইউনিট-১ বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় তিনি এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম ইউনিটের নির্মাণকাজ শেষ করার ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

আগামী ৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে নয়াদিল্লি রওনা হবেন।

বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পাণ্ডে বলেছেন, 'মেগা পাওয়ার প্ল্যান্টের দুটি ইউনিট চালু হয়ে গেলে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টটি হবে বাংলাদেশের বৃহত্তম পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোর মধ্যে একটি।'

তিনি বলেন, 'বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-২, যা রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নামেও পরিচিত; এটি আগামী বছরের শুরুর দিকে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।'

প্রকল্পের বৈশিষ্ট্যগুলো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করে একজন কর্মকর্তা বলেন, '১ হাজার ৩২০ (২x৬৬০) মেগাওয়াট কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে স্থাপন করা হচ্ছে এবং এটি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলার রামপালে অবস্থিত।'

মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট ভারত সরকারের রেয়াতি অর্থায়ন প্রকল্পের অধীনে নির্মিত হচ্ছে।

বিপিডিবি'র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেডের (বিএইচইএল) জন্য বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) এটি নির্মাণ করছে। বিআইএফপিসিএল হলো ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানি (এনটিপিসি) লিমিটেড ও বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) মধ্যকার একটি ৫০:৫০ উদ্যোগ।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, 'পরিবেশগত প্রভাব কার্যকরভাবে প্রশমিত করতে সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করা হচ্ছে।'

পাণ্ডে বলেন, 'ফ্লু গ্যাস নির্গমনের বিস্তৃত বিচ্ছুরণের জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে লম্বা চিমনি (২৭৫ মিটার) রয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'কয়লার জন্য একটি অগ্রিম জাহাজ আন-লোডার নির্মাণের পাশাপাশি একটি সম্পূর্ণ আচ্ছাদিত কয়লা স্টক ইয়ার্ড, কম ছাই ও সালফার সামগ্রীসহ উচ্চ গ্রেডের আমদানি করা কয়লা ব্যবহারসহ অন্যান্য ব্যবস্থা রয়েছে।'

প্রকল্পের পরিচালক বলেন, 'গত ৬ এপ্রিল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৪০০ কেভি জিআইএস সুইচইয়ার্ড ও আন্তঃসংযোগকারী ট্রান্সফরমারটি সক্রিয় করা হয়েছিল। তারপর থেকে এটি পায়রা বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বাংলাদেশের ২৩০ কেভি গ্রিড সিস্টেমে ৪০০ কেভি বিদ্যুতের হুইলিং সুবিধা প্রদান করছে। যাতে বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিড করপোরেশন সর্বোচ্চ চাহিদা মেটাতে খুলনা অঞ্চলে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ পাঠাতে সক্ষম হয়।'

Comments

The Daily Star  | English
August 5 declared as July Mass Uprising Day

Govt declares 3 new days for nat’l observance

The interim government yesterday declared August 5 as “July Mass Uprising Day” to commemorate the student-led protests that toppled the Sheikh Hasina regime that day last year.

7h ago