চলতি বছর রেকর্ড ৩৬০০ বাংলাদেশি কর্মী নেবে দ. কোরিয়া

ফাইল ছবি

দক্ষিণ কোরিয়ায় চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের (ইপিএস) আওতায় ৩ হাজার ৬০০ জনের বেশি কর্মী নেওয়া হবে।

ঢাকায় কোরিয়ার হিউম্যান রিসোর্স ডিপার্টমেন্টের ইপিএস সেন্টার আজ বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে।

২০০৮ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে কোরিয়ার ইপিএস প্রোগ্রাম শুরু হওয়ার পর থেকে এত কর্মী কোনো বছর নেওয়া হয়নি।

ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাস জানিয়েছে, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৫৯৪ জন বাংলাদেশী কর্মী ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে। নিয়োগকারীদের কর্মী চাহিদা মেটাতে এ বছর বাংলাদেশ থেকে আরও ১ হাজার অতিরিক্ত কর্মী নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

২০১০ সালে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ৬৯১ জন ইপিএসের আওতায় কর্মী নিয়েছিল কোরিয়া।

ইপিএসের প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশ থেকে অদক্ষ বিদেশী কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে কোরিয়া। 

দুই দেশের সরকারের মধ্যে সইকৃত একটি সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) ২০০৮ সাল থেকে কোরিয়ায় কর্মী পাঠিয়ে আসছে।

করোনা মহামারির কারণে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিদেশি ইপিএস কর্মী নেওয়া স্থগিত রেখেছিল।

করোনা পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে কোরিয়া সরকার আবার বিদেশি কর্মী নেওয়া শুরু করে। এ ক্ষেত্রে কর্মীদের যাওয়ার আগে ও কোরিয়ায় পৌঁছানোর পর কোয়ারেন্টিনে থাকার কঠোর নির্দেশনা আছে।

এ বছর এপ্রিল পর্যন্ত চার্টার্ড ফ্লাইটে প্রতি সপ্তাহে ১০০ জনের বেশি বাংলাদেশি কর্মী কোরিয়া যান।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) স্বীকৃতি পাওয়া কোরিয়ার ইপিএস সিস্টেম এবং বিদেশী কর্মী নীতিতে উচ্চ বেতন, সমান শ্রম অধিকার এবং কর্মসংস্থান, শিল্প দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ, জাতীয় পেনশন এবং জাতীয় স্বাস্থ্যসহ চার শ্রেণীতে কর্মীদের বিমা নিশ্চিত করে।

ইপিএস কর্মীরা কোরিয়ায় পুনঃপ্রবেশের জন্য আজ ৩ আগস্ট থেকে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। নিবন্ধিত প্রার্থীদের কোরিয়ান ভাষা পরীক্ষা সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। 

পাশাপাশি, কোরিয়ান ভাষায় পারদর্শী ৭ হাজার নির্বাচিত প্রার্থীর জন্য জেনারেল কোরিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্ট বাতিল করে বিশেষ সুযোগ দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে কোরিয়া। নতুন প্রক্রিয়া এ বছরের সেপ্টেম্বরে শুরু হতে পারে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং-কেউন বলেন, 'বাংলাদেশী প্রবাসী কর্মীরা কোরিয়া-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের কেন্দ্রীয় স্তম্ভ এবং ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।'

ইপিএসের আওতায় কর্মীদের কোরিয়ায় কর্মসংস্থানের উপযোগী করে তোলার মাধ্যমে বোয়েসেল অবদান রাখছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত লি আরও বলেন, শুধু কর্মীর সংখ্যা বাড়াতে এবং তাদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনতেই নয়, কর্মীদের আরও দক্ষ করতে দূতাবাস ও ইপিএস ঢাকা সেন্টার বোয়েসেলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Bees & bucks: Beekeeping boosts rural incomes

From December to February, mustard fields across Bangladesh become buzzing ecosystems as bees, both wild and domesticated, diligently go from flower to flower in search of their most precious commodity: nectar.

13h ago