টিপু-প্রীতি হত্যা মামলায় আরও ২ জন গ্রেপ্তার

রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকায় মতিঝিল আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আরও ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মারুফ-সোহেল
গ্রেপ্তার সোহেল (বামে) ও মারুফ (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকায় মতিঝিল আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আরও ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-শাহরিয়ার ওরফে শটগান সোহেল ও মারুফ রেজা সাগর।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগের মতিঝিল ডিভিশন সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার সোহেল শাহরিয়ার রানা ওরফে শটগান সোহেল টিপু হত্যা মামলার মাস্টারমাইন্ড এবং মারুফ রেজা সাগর হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র সরবরাহকারী।

সূত্র জানায়, মারুফ রেজা সাগর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ১০ নং ওয়ার্ডের (মতিঝিল) সভাপতি ও সোহেল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের নেতা।

রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে এই মামলায় আগে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার রাতে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

গত ২৪ মার্চ দিবাগত রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুরের আমতলা জামে মসজিদের কাছে  টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি নিজের মাইক্রোবাসে বাসায় ফিরছিলেন। গাড়িটি যানজটে পড়ার পর একটি মোটরসাইকেল যোগে আসা হেলমেট পরা এক যুবক টিপুকে লক্ষ্য করে গুলি করে।

এ সময় এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হন কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতি।

এ ঘটনায় টিপুর স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ডলি শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) সেই মামলার তদন্ত শুরু করে। ঘটনার ২ দিন পর পুলিশ মাসুম মোহাম্মাদ আকাশ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ বলছে, টিপুকে হত্যা করতে আকাশকে চুক্তি দেন সুমন শিকদার ওরফে মুসা। যার পেছনে ছিলেন একাধিক শীর্ষ সন্ত্রাসী।

সূত্র বলছে, সুমন শিকদার ওরফে মুসা ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান, প্রকাশ-বিকাশ গ্রুপ ও মানিক গ্রুপের সদস্য। 

হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সন্দেহভাজন মুসা দেশ ছেড়ে পালানোর পর গত জুন মাসে তাকে ওমান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

Police didn't follow int'l standards while using lethal weapons: IGP

Police failed to adhere to the standards in home, which they have maintained during their UN missions, Mainul Islam said

6h ago