ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ অর্থহীন: প্রধানমন্ত্রী

pm_28jul22.jpg
ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেন ও রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ অর্থহীন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরও বলেন, এই যুদ্ধে শুধুমাত্র অস্ত্র বিক্রেতারা লাভবান হচ্ছে। বিপন্ন হচ্ছে সাধারণ মানুষের জীবন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সেন্টেনিয়াল টিটিসিসহ উপজেলা পর্যায়ে নির্মিত ২৪টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দেওয়া এক ভাষণে জাতির পিতা কারিগরি ও বিজ্ঞান শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেছিলেন, 'আজ বিশ্বের সকল জাতি পথ বেছে নেওয়ার কঠিন সংগ্রামের সম্মুখীন। এই পথ বাছাই করার প্রজ্ঞার ওপর নির্ভর করছে আমাদের ভবিষ্যত। অনাহার, দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও বুভুক্ষার তাড়নায় জর্জরিত পারমাণবিক যুদ্ধের দ্বারা সম্পূর্ণ ধ্বংস হওয়া শঙ্কায় শিহরিত বিভীষিকাময় জগতের দিকে আমরা এগোবো না। আমরা তাকাব এমন এক পৃথিবীর দিকে যেখানে বিজ্ঞান ও কারিগরি জ্ঞানের বিস্ময়কর অগ্রগতির যুগে মানুষের সৃষ্টির ক্ষমতা ও বিরাট সাফল্য আমাদের জন্য এক শঙ্কামুক্ত উন্নত ভবিষ্যত গঠনে সক্ষম। এই ভবিষ্যত হবে পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা থেকে মুক্ত। বিশ্বের সকল সম্পদ ও কারিগরি জ্ঞানের সুষ্ঠু বণ্টনের দ্বারা এমন কল্যাণের দার খুলে দেওয়া যাবে, যেখানে প্রত্যেক মানুষ সুখী ও সম্মানজনক জীবনের ন্যূনতম নিশ্চয়তা লাভ করবে।'

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মনে করি, জাতির পিতার এ বক্তব্য শুধু আমাদের দেশের ক্ষেত্রে না, বিশ্বের জন্য প্রযোজ্য। যেখানে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করতে হয়েছে আমাদের। সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে এর মন্দা দেখা দিচ্ছে। তারই সঙ্গে শুরু হয়েছে ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ এবং এই যুদ্ধ অর্থহীন। কারণ এই যুদ্ধে আমি দেখতে পাচ্ছি শুধুমাত্র যারা অস্ত্র তৈরি করে তারাই লাভবান হচ্ছে। আর সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন হচ্ছে। শুধু যুদ্ধ না, তার সঙ্গে আবার নিষেধাজ্ঞা। এই নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় আজকে সারা বিশ্ব অর্থনৈতিক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। উন্নত দেশগুলো এখন বিদ্যুতের সাশ্রয়, জ্বালানির সাশ্রয়, খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে তারা শঙ্কিত এবং তারা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। সেখানে আমাদের মতো দেশ, কেবল আমরা উন্নয়নের পথে যাত্রা শুরু করেছি, একটা লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আপ্রাণভাবে। তখনই এই ধরনের বাধা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু আমাদের থেমে থাকলে চলবে না। আজকে জ্বালানি সাশ্রয়ের বিষয়ে সব দেশই নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরাও সেটা অনুসরণ করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। কারণ আমাদের যুব সমাজ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আমাদের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে এবং আমরা তা নিচ্ছি। উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে দক্ষ জনশক্তি তৈরির ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা এই জনশক্তিতে তৈরি করতে চাই।

Comments

The Daily Star  | English

Climate finance: $250b a year needed

COP29 draft deal says rich nations should pay the amount to fight climate change

21m ago