বাড়ির বেড়া ভেঙে গৃহবধূকে পেটালেন গ্রাম পুলিশ, ইউএনওর কাছে অভিযোগ
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় বাড়িতে ঢুকে এক গৃহবধূকে তার দুই শিশু সন্তানের সামনে লাঠি দিয়ে বেধরক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে এক গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ আছে, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হয়ে গৃহবধূকে পিটিয়েছেন গ্রাম পুলিশ নুর হোসেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ নুর হোসেনের বিরুদ্ধে গতকাল মঙ্গলবার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
গত ১৯ জুলাই নোয়াখালী সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের কালাদরাপ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের একটি ভিডিও আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ইউএনওর কাছে দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার কালাদরাপ গ্রামের পরিবহন শ্রমিক মো. ইউনুসের সঙ্গে একই এলাকার প্রতিবেশী সাহাব উদ্দিনের ৫ শতক জমি নিয়ে বছরখানেক ধরে বিরোধ চলছিল। সাহাব উদ্দিন জমি জবর দখল করতে চাইলে ইউনুস স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানান। গত ১৯ জুলাই সকালে গ্রাম পুলিশ নুর হোসেন আবু তাহের মেম্বারের নির্দেশে ইউনুসের বাড়িতে এসে বসত ঘরের টিনের বেড়া ভেঙে ফেলেন। এতে বাধা দিলে ইউনুসের স্ত্রীকে তার দুই বছর বয়সী সন্তানদের সামনে এলোপাতাড়ি মারধর করেন নুর হোসেন। এ ঘটনায় কারো কাছে বিচার চাইলে ক্ষতি করার হুমকি দেন গ্রাম পুলিশ।
পরে গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে এসে তাকে আহত অবস্থা উদ্ধার হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসা শেষে সোমবার বাড়ি ফেরেন গৃহবধূ।
কালাদরাপ ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাত উল্যা সেলিম গৃহবধূকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি সমাধান করার জন্য সমঝোতা বৈঠক হওয়ার কথা আছে।
অভিযুক্ত গ্রামপুলিশ নুর হোসেনের কাছে অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য তাকে জমি নিয়ে সীমানা নির্ধারণ করার জন্য ইউনুসের বাড়িতে পাঠিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি টিনের বেড়া ভেঙেছেন কিন্তু নারীকে মারধর করেননি।
এ বিষয়ে আবু তাহের মেম্বারের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Comments