কে এই দ্রৌপদী মুর্মু

দ্রৌপদী মুর্মু। ছবি: সংগৃহীত

যশবন্ত সিনহাকে হারিয়ে ভারতের ইতিহাসে প্রথম সাঁওতাল প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। দেশটির দ্বিতীয় নারী প্রেসিডেন্ট তিনি।

পূর্ব ভারতীয় রাজ্য ওড়িষার মেয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর জন্ম ১৯৫৮ সালের ২০ জুন। দ্য ডেইলি স্টারের নয়াদিল্লি সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ৬৪ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ রাজনীতিতে প্রবেশের আগে শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। 

গত কয়েক দশক ধরে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। ময়ূরভঞ্জে নিজ শহর রায়রাংপুর থেকে তিনি ২০০০ এবং ২০০৯ সালে ২ বার বিজেপির হয়ে রাজ্য বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৭ সালে বিজেপির রাজ্য তফসিলি ট্রাইব ফ্রন্টের ভাইস-চেয়ারপার্সন হন তিনি।

আগামী ২৫ জুলাই দ্রৌপদী মুর্মু ভারতের ১৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন। ছবি: সংগৃহীত

মুর্মু তার গ্রাম উপরেরবেদার প্রথম নারী, যিনি পড়াশোনার জন্য কলেজে পা রাখেন। ওড়িশার শহর ভুবনেশ্বরের রামাদেবী মহিলা কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।

ওড়িশা বিধানসভায় নির্বাচিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের নেতৃত্বে মুর্মু প্রথমে বাণিজ্য ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ে এবং পরে মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন।

দ্রৌপদী মুর্মু। ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালে লোকসভার সদস্য হওয়ার প্রথম প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হন মুর্মু। ময়ুরভঞ্জ কেন্দ্রে হেরে যান তিনি। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে স্বামী শ্যাম চরণ মুর্মু এবং ২ ছেলেকে হারিয়ে পারিবারিক জীবনে বেদনাদায়ক সময় পার করেন তিনি।

২০১৫ সালে দ্রৌপদী মুর্মু ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল নির্বাচিত হন। ২০২১ সাল পর্যন্ত এ পদে ছিলেন তিনি।

ঝাড়খণ্ডের গভর্নর হিসেবে মুর্মু সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন নারী শিক্ষার ওপর। দরিদ্র পরিবারের শিশুদের জন্য ওড়িশার পাহাড়পুর গ্রামে একটি আবাসিক স্কুলও স্থাপন করেন তিনি।

আগামী ২৫ জুলাই দ্রৌপদী মুর্মু ভারতের ১৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন।

Comments

The Daily Star  | English

Protests disrupt city life, again

Protests blocking major thoroughfares in Karwan Bazar and Shahbagh left the capital largely paralysed

1h ago