পাবনায় আবারও চরমপন্থী আতঙ্ক

গত রোববার সদর উপজেলার সাদুল্লাহপুর ইউনিয়নের একটি ঠিকাদারি কাজের সাইটে এস্কেভেটর লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। ছবি: সংগৃহীত

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে চরমপন্থীদের নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ায় দীর্ঘদিন পাবনায় চরমপন্থী আতঙ্ক ছিল না। তবে, সম্প্রতি পাবনা সদর উপজেলায় সন্ত্রাসীদের আকস্মিক গুলিবর্ষণ ও লিফলেট ফেলে যাওয়ার ঘটনায় আবারও চরমপন্থী আতঙ্ক শুরু হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার পাবনা সদর উপজেলার এক ঠিকাদার চরমপন্থীদের হামলার শিকার হয়েছেন উল্লেখ করে আতাইকুলা থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।

আজ বুধবার আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, পাবনা সদর উপজেলার একটি ঠিকাদারি কাজের সাইটে চরমপন্থী সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে ও লিফলেট ফেলে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে।

সাইটটির ঠিকাদার শেখ রাসেল আলী মাসুদ জানান, সাদুল্লাহপুর ইউনিয়নের তেলিগ্রাম ঢালীপাড়া এলাকায় প্রায় ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে বিএডিসির সড়ক উন্নয়ন কাজ করছে তার প্রতিষ্ঠান। 

গত এক মাস ধরে সর্বহারা পার্টির নামে অপরিচিত ফোন নম্বর থেকে অজ্ঞাতরা ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিল বলে জানান তিনি। তবে এ বিষয়ে তেমন গুরুত্ব দেননি তিনি।

এ অবস্থায় গত রোববার রাতে তার কাজের সাইটে ৭-৮ জনের একটি সন্ত্রাসী দল সশস্ত্র হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা সেখানে গুলিবর্ষণ করে এবং সাইটে থাকা এস্কেভেটর লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে কাঁচ ভেঙে ফেলে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ঠিকাদার শেখ রাসেল আলী জানান, চাঁদা না দিলে এই এলাকায় কাজ করতে দেওয়া হবে না জানিয়ে হামলাকারীরা সর্বহারা পার্টির নামে শ্লোগান দিয়ে চলে যায়।

লিফলেটে সম্প্রতি পাবনা-রাজবাড়ী সীমান্তবর্তী ঢালারচরের রাখালগাছিতে দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত আওয়ামী লীগ নেতা আক্কাস আলীকে হত্যার দায়ও স্বীকার করেছে চরমপন্থী পরিচয় দেওয়া সন্ত্রাসীরা।

এ ঘটনার পর থেকে ওই সাইটে কাজ করতে ভয় পাচ্ছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘটনা জানার পরই ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে চরমপন্থীর নামে দেওয়া লিফলেট উদ্ধার করা হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় ইতোপূর্বে চরমপন্থী সন্ত্রাসীদের নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তবে আবারও তারা সংঘটিত হওয়ার চেষ্টা করছে।'

চরমপন্থীরা যেন সংঘবদ্ধ হতে না পারে পুলিশ এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে। ভয়ে অনেকেই এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য দিচ্ছেন না, তবে এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

Comments

The Daily Star  | English

Locals take it upon themselves to repair road

On Saturday, residents of the two villages began the work to turn the earthen road to a brick road

51m ago