কলকাতায় ফ্লাইটের ভেতর ৩ ঘণ্টা আটকা বিমানের যাত্রীরা

বিমানের বিজি ৩৯৬ ফ্লাইটের ভেতর আটকে থাকা যাত্রীরা। ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ৩ ঘণ্টা ধরে আটকে আছেন প্রায় ১৫০ জন যাত্রী। এ সময়ের মধ্যে যাত্রীদের উড়োজাহাজ থেকে নামতে দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। 

কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা থেকে বিমানের বিজি ৩৯৬ ফ্লাইটটি আটকে আছে।

ফ্লাইটের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

যাত্রীরা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, এই ৩ ঘণ্টার মধ্যে তাদের খাবারও সরবরাহ করা হয়নি। উড়োজাহাজের ভেতর দুর্বিষহ সময় কাটাচ্ছেন তারা।

ফ্লাইটের এক যাত্রী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে কলকাতা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল ফ্লাইটির। তবে ফ্লাইট ছাড়ার আগ মুহূর্তে কারিগরি ত্রুটির কথা জানিয়ে বলা হয় যে ফ্লাইটটি দেরিতে ছাড়বে।

তিনি জানান, ঘণ্টাখানেক পর ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। তবে রানওয়েতে গিয়ে আবারও কারিগরি ত্রুটির কথা বলে উড্ডয়ন বাতিল করা হয়।

সর্বশেষ স্থানীয় সময় রাত সোয়া ১২টায়ও ফ্লাইটটি ছাড়েনি বলে খবর পাওয়া গেছে।

যাত্রীরা জানান, বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজটিতে প্রায় ১৫০ জন যাত্রী আছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন ইতোমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

ফ্লাইটের এক যাত্রীর একটি ভিডিও বার্তা ডেইলি স্টারের হাতে এসে পৌঁছেছে। ভিডিওতে তিনি বলেন, 'বিমানের ক্রুদের ভাষ্য অনুযায়ী, সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স নেই বলে তারা আমাদের ফ্লাইট থেকে নামতে দিচ্ছেন না। এর একমাত্র সমাধান হচ্ছে যদি ঢাকা থেকে একই বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ এখানে পাঠায়, তবে সব যাত্রীকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব।'

ফ্লাইটের যাত্রী শওকত হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, '৪৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর তারা জানালেন কারিগরি ত্রুটি। এক ঘণ্টা পরও ফ্লাইট ছাড়েনি। ফ্লাইটে অনেক রোগী আছেন, তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।'

'গ্রাউন্ড ইলেক্ট্রিসিটি নেই বলে এসি চলছে না। লাইট ছিল না, কিছুক্ষণ আগে লাইট এসেছে। বর্তমানে আমরা উড়োজাহাজের ভেতর বন্দী আছি। আমাদের নামতে দেওয়া হচ্ছে না।'
 
এ বিষয়ে বিমানের নবনিযুক্ত এমডি ও সিইও জাহিদ হোসেনকে খুদে বার্তা পাঠালে তিনি কোনো জবাব দেননি।

Comments

The Daily Star  | English

Uncovering the silent deaths of migrant women

In the shadows of booming remittance flows and the quiet resilience of Bangladesh’s labour diaspora, a disturbing reality persists: numerous Bangladeshi female migrant workers, particularly those employed as domestic help in Gulf countries, are returning home in coffins.

18h ago