নড়াইলে সাম্প্রদায়িক হামলা: গ্রেপ্তার ৫ জনকে ৭ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

নড়াইলে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ৫ জন। ছবি: সংগৃহীত

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া গ্রামের সাহাপাড়ায় সাম্প্রদায়িক হামলা মামলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।

রোববার রাত ও আজ সোমবার সকালে এই ৫ জনকে লোহাগড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

তারা হলেন, মো. সাইদ শেখ, মো. রাসেল মৃধা, কবির গাজী, রেজাউল শেখ ও মো. মাসুম বিল্লাহ।

তারা সবাই লোহাগড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। লোহাগড়া থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'গ্রেপ্তার ৫ জনকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হচ্ছে।'

ঘটনার দিন জনরোষ সৃষ্টি ও হামলার সঙ্গে তারা জড়িত ছিলেন। ঘটনার আগে ও পরে বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদেরকে শক্ত করা হয়েছে বলেও জানান তদন্ত কর্মকর্তা।

এর আগে, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর, শতাধিক দোকান ভাঙচুর এবং ৫টি মন্দিরে হামলার ঘটনায় রোববার রাতে লোহাগড়া থানার এসআই মাকফুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার পরপরই গ্রেপ্তার অভিযানে নামে পুলিশ।

মামলায় ২০০ থেকে ২৫০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। তবে ঘটনার দিনের ভিডিও ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত ১৬ জুলাই রাতে দিঘলিয়া গ্রামের সালাহ উদ্দীন কচি বাদী হয়ে আকাশ সাহার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মামলা দায়ের করেছিলেন। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বর্তমানে তিনি ৩ দিনের রিমান্ডে আছেন।

মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে একটি ফেসবুক পোস্টে আকাশ সাহা নামের এক কলেজছাত্রের ফেসবুক আইডি থেকে গত বৃহস্পতিবার বিতর্কিত কমেন্ট করার অভিযোগ ওঠে।

এর জেরে শুক্রবার বিকেলে হামলা হয় দিঘলিয়া গ্রামের সাহাপাড়ায়।

হামলাকারীরা গোবিন্দ সাহা ও দিলীপ সাহার বাড়ি, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বাবা অশোক সাহার দোকানসহ ১০০টির বেশি বাড়ি-দোকান ভাঙচুর করেন। গোবিন্দ সাহার বাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

DU JCD leader stabbed to death on campus

Shahriar Alam Shammo, 25, was the literature and publication secretary of the Sir AF Rahman Hall unit of Jatiyatabadi Chhatra Dal

58m ago