কবিতার সত্যে আল মাহমুদ

আল মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

জীবন ও যাপনের তাৎপর্যকে শিল্পে ধরতে পারা মানবিক জগতের এক বড় স্বাদ। এ সত্যকে প্রবলভাবে উপেক্ষা করতে পারেন—যারা 'শিল্পের জন্য শিল্প' মতবাদী। কিন্তু 'সত্যিকারের কবিতা ডানায় ভর দিয়ে উড়ে আসে। তাকে বানানো যায় না।'

আর কবিতার পাঠক হিসেবে আরও সত্য যে, ভালো কবিতা বোঝার আগেই ভালো লেগে যায়। আল মাহমুদের বেলায়ও এর ব্যতিক্রম নয়। সুবোধ ঘোষের কথায়ও সেই প্রতিধ্বনি—'যে কবিতা প্রথমবার পাঠ করার সাথে সাথেই বিদ্যুচ্চমকের মতো ভালো লেগে যায়, তারপর সমস্ত জীবন বারবার ফিরে যেতে হয় তার কাছে, সেই কবিতাই উৎকৃষ্ট কবিতা।'

আল মাহমুদের বহু কবিতা ও কবিতাংশ রয়েছে যা পাঠে আসে এরকমই অনুভূতি। 'প্রেম কবে নিয়েছিলো ধর্ম কিংবা সংঘের শরণ?/ মরণের পরে শুধু ফিরে আসে কবরের ঘাস।/ যতক্ষণ ধরো এই তাম্রবর্ণ অঙ্গের গড়ন/তারপর কিছু নেই, তারপর হাসে ইতিহাস।' (সোনালী কাবিন-৪)

কোনো জটিল চিন্তা বা আলঙ্কারিক বন্ধন নয়, সরল সত্যের উদঘাটন, সর্বোপরি জীবন-ঘনিষ্ঠ। আরও দেখা যেতে পারে: 'আর আসবো না বলে দুধের ওপরে ভাসা সর/ চামচে নিংড়ে নিয়ে চেয়ে আছি। বাইরে বৃষ্টির ধোঁয়া/ যেন সাদা স্বপ্নের চাদর/ বিছিয়েছে পৃথিবীতে।/ কেন এতো বুক দোলে? আমি আর আসবো না বলে?

...সুখ, আমি আসবো না।/ দুঃখ, আমি আসবো না।/প্রেম, হে কাম, হে কবিতা আমার/ তোমরা কি মাইল পোস্ট না ফেরার পথের ওপর?' (আমি আর আসবো না বলে)

আল মাহমুদের এরকম অসংখ্য লাইনের বিদ্যুৎ-চমকে আমরা মুহূর্তে আবিষ্ট হই। তারপর কবিতার পঙক্তিগুলো যেন অন্তরে নিরবধি খেলা করে যায়। তার পাঠক তাই উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়। হালের তরুণদের কাছেও তিনি  সুখপাঠ্য; কেবল তা-ই নয়, চিন্তা-গ্রাহ্য। আসলে এক অনন্য শক্তির বলে কবি উঠে যান মতাদর্শেরও ওপরে। মহামতি লেনিনের সামনে একজন বিপ্লবী নাকি বলেছিলেন মায়াকোভস্কির কবিতার কথা। আর তিনি বলেছিলেন পুশকিনের কবিতার কথা, তলস্তয়ের সাহিত্যের কথা।

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদ। পাশ্চাত্য আধুনিকতা ব্যতিরেকে আমরা যখন কথাই বলতে পারি না কিংবা আমাদের আধুনিক কবিতায় বিদেশি শিল্পের চাষবাস, জনসমর্থনেও সেদিকটা ভারি, তখনও এই কবিকে মাটির সঙ্গে, নদীর সঙ্গে, ফুল ও পাখির সঙ্গে কথা বলতে দেখেছি। হয়তো বিরোধের চোরাটান তখনি প্রত্নফসিল হয়ে জমা হচ্ছিলো কবির অন্তরে। আর কবিতা তো স্বয়ম্ভূ, সত্তার গভীর টানে ভেতরে আসীন। 
আল মাহমুদের কাছে—'কবিতা তো কৈশোরের স্মৃতি। সে তো ভেসে ওঠা ম্লান/আমার মায়ের মুখ; নিম ডালে বসে থাকা হলুদ পাখিটি/ পাতার আগুন ঘিরে রাতজাগা ভাই-বোন/ আব্বার ফিরে আসা, সাইকেলের ঘণ্টাধ্বনি– রাবেয়া রাবেয়া–/ আমার মায়ের নামে খুলে যাওয়া দক্ষিণের ভেজানো কপাট।' (কবিতা এমন) বস্তুত কবিতার আর কোনো সংজ্ঞায়নের দরকার হয় না, সে-কাজ সাহিত্য-সমালোচকের। এমন অনুভবের বাতায়ন দিয়ে জীবনের গহন কন্দরে ঢুকে পড়া যেন অভাবিত, সৌন্দর্যে বিলীন।

জীবনানন্দ দাশের পর বাংলা কবিতায় এ বঙ্গের উপস্থিতি সুস্পষ্ট নয়। আল মাহমুদের কবিতায় আছে দেশপ্রেম, সমাজ, পরিবার, ঐতিহ্য, ধর্ম ইত্যাদির যুক্ততা। চির পরিবেশ থেকে নিয়ে তিনি শব্দ ব্যবহার করেছেন। 'সোনালী কাবিন', 'কালের কলস', 'লোক লোকান্তরে'র কবি হয়ে উঠেছেন অনন্য কাব্যদ্রষ্টা। 'বখতিয়ারের ঘোড়া', 'আরব্য রজনীর রাজহাঁস', 'মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো', 'অদৃষ্টবাদীদের রান্নাবান্না' কিংবা 'পাখির কাছে ফুলের কাছে'—এসবে রয়েছে জীবন ও বিশ্বাসের গভীর সংশ্লিষ্টতা।

পঞ্চাশ দশকের অন্তর্নিবিষ্ট লোকমানসের আল মাহমুদ, বিপ্লবী, সাম্যবাদী, কাদামাটিস্পর্শী। চার্লস সিমিক (সার্বিয়ান-আমেরিকান কবি) এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন: 'কবিতা লিখতে কোনো প্রস্তুতির দরকার নেই। খুব ভালো একটা কবিতার সংকলন কিংবা দর্শনের বই পকেটে নিয়ে ৪ বছর ঘুরে বেড়ালে, তা তন্ন তন্ন করে পাঠ করলে, বিশ্ববিদ্যালয় পাসের জন্য হয়তো কাজে দেয়; কিন্তু কবিতা রচনায় নয়।'

আল মাহমুদ পাঠ যেন সে-কথাই পলে পলে স্মরণ করিয়ে দেয়। কবিতার বচন অন্তর দিয়ে আহরণ করতে হয়। কবিতার বাস অধরা লোকে, যাকে 'অলৌকিক আনন্দ' বলা যায়। তার প্রথম জীবনে কবিতা সৃষ্টি হলো যেন ঐশীবাণীর মতো। নিজেই নিজের সৃষ্টির আনন্দে বিভোর হয়ে গেলেন।

'সোনালী কাবিনে'র প্রথম কয়েক ছত্র লিখে, উন্মাদগ্রস্তের মতো পাঠ করতে করতে কবি নির্ঘুম রাতে এলোপাথাড়ি পায়চারি করেছিলেন। তারপর সৃষ্টির অপার আনন্দে ডুবসাঁতার দিয়ে অন্যদেরকেও কবিতা-দহের গহীনতায় ডুবিয়েছিলেন। কবি চান সত্তার ভারমুক্তি। আর এটি যে-কোনো চৈতন্যশীল মানুষের কাম্য। 'কালের কলসে'র কবিতা নাগরিক-আধুনিক মানুষের মর্মশূল বেদনার উপশম। 'লোকালয় থেকে দূরে, ধোঁয়া অগ্নি মশলার গন্ধ থেকে দূরে/ এই দলকলসের ঝোপে আমার কাফন পরে আমি কতকাল/ কাত হয়ে শুয়ে থেকে দেখে যাবো সোনার কলস আর বৃষের বিবাদ।'

শামসুর রাহমানকে লেখা 'আল মাহমুদের চিঠি' পড়লে কবিতার কৌশল সম্পর্কে প্রথাগত ধারণাটাই পাল্টে যায়। নিরীক্ষাকে যখন শক্তপোক্ত কবিতা ভাবা হয়, তখন আল মাহমুদ যেন স্বয়ংক্রিয়-স্বতঃস্ফূর্ত-প্রগলভ এক সত্তার কথা বলেন। মনোরম শব্দকে তিনি অনন্য শব্দগাম্ভীর্যে মিশিয়ে দেন, ভিন্নতর এক ভাষা সৃষ্টি করেন। সেটি একান্তই আল মাহমুদের ভাষা। মহাকালের কাছে একজন সৎ কবির লক্ষ্য ও দায় সীমাহীন। তার মধ্যে সামাজিক দায় প্রত্যক্ষ। মানুষের আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, জরা ও মৃত্যুর শৈল্পিক রূপায়ণও কবির অন্যতম দায় ও প্রেরণা। কবিতার 'আপারটোন' বা 'হাই ক্লাস' ধরনের স্বরটা হয়তো এ-কবির অপছন্দই ছিল। নানা বিবেচনায় বাংলা কবিতায় আধুনিকতা ও জাতীয়বোধের ধারণাকেও তিনি বদলে দেন।

শামসুর রাহমানকে তিনি লিখেছিলেন: 'আমার আগ্রহ দেখে আপনি হয়তো ভাবতে পারেন, সনেটগুলোতে আমি বোধহয় নতুন কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। তা করিনি। আমি অন্যান্য কবিতায় যা করি এগুলোতেও তাই করেছি। কিছু মনোরম আঞ্চলিক শব্দ সংস্কৃত তৎসম শব্দের পাশে আমার পক্ষে যতদূর সম্ভব নিপুণতার সাথে গেঁথে দিয়েছি। এভাবে আমার কবিতার জন্যে আমি একটি ভাষা সৃষ্টি করতে চাই। বিষয়বস্তু হিসেবে নিয়েছি প্রাচীন ইতিহাস, প্রেম ও স্বাজাত্যবোধ। এই স্বাজাত্যবোধ উগ্র জাতীয়তাবাদের নামান্তর নয়। সমাজ সম্বন্ধে আমার ধারণাও এতে অতি সরলভাবে বিবৃত হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। যেটুকু জাতীয়তাবাদী মনোভাব কবির না থাকলে চলে না ঠিক ততটুকু আমার অন্যান্য কবিতাতেও আপনি হয়তো লক্ষ করে থাকবেন।'

কবির বিষয় কী হতে পারে? সেই ক্লাসিক যুগে লাতিন কবি হোরেস বিষয়-নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছিলেন; তখন থেকে চলছে। আধুনিক কালে এসেও ভিরমি খেতে হয় সেই বিষয়-নির্বাচনে। আল মাহমুদের কাছে অনায়াসে জেনে নিতে পারি—'আমার বিষয় তাই, যা গরীব চাষির বিষয়/ চাষির বিষয় বৃষ্টি ফলবান মাটি আর/ কালচে সবুজে ভরা খানা খন্দহীন/ সীমাহীন মাঠ।/ চাষির বিষয় নারী।/ উঠোনে ধানের কাছে নুয়ে থাকা।/ পুর্ণস্তনী ঘর্মাক্ত যুবতী।' (কবির বিষয়)। এ-প্রকাশ বে-আব্রু, আপাত অশালীন। 'সোনালী কাবিনে' উদ্ধৃত—'ভালোবাসা দাও যদি আমি দেব আমার চুম্বন, ছলনা জানিনা বলে আর কোন ব্যবসা শিখিনি।'

তিনি তো বিবসন হতে বলেন সরল সত্যে। সেই আদিমতম সত্য, সভ্যতার প্রত্নগভীর সত্য, পৌরুষ আবৃত করা জলপাই পাতার সত্য। হুইটম্যানের কবিতায় রয়েছে ভাবের এমন বে-আব্রু প্রকাশ। এই প্রকাশে আমরা আতঙ্কিত হলেও ক্ষুব্ধ হই না। তার কবিতাজুড়ে আসে শঙ্খমাজা শ্বেতপদ্ম কলি, মাংসের গোলাপ, মিথুনরত কবুতর, সোনালি ফল, ত্রিকোণ কর্দম। সবই জীবনের প্রত্যক্ষ উপাদান, রাখঢাকের প্রসঙ্গ নেই। আসলে শেষতক তিনি কবি।

তিনি মহেঞ্জোদারোর মৃৎপাত্রে গাঁথা অক্ষরে দৃষ্টিপাত করেছিলেন। যদিও 'মানুষের শিল্প' তার কাছে 'নির্বোধের নিত্য কারিগরি', তবু শব্দশিল্পের গায়ে তিনি তার পদচিহ্ন রেখে যান। এলিয়ট খ্রিস্টবাদে শরণ নিয়েও অনতিক্রমী থেকে গেছেন। আল মাহমুদের বিশ্বাসের জগতও তাই। তার কবিতায় একই ধারায় উঠে আসে সক্রেটিস, গোর্কি, মুহাম্মদ, বখতিয়ার, বেঞ্জামিন মোলয়েসি, ঈশপ, ইকবাল কিংবা বেদুইন। অন্যদিকে ফেদেরিকো গার্সিয়া লোরকার মতো তার লোকায়ত অনুভবের ঝুলিতে থাকে বিশ্ববোধের সমান ধারণা।

কবি চার্লস সিমিকের কথায়, 'প্রত্যেকটা ধর্ম, আদর্শ এবং চিন্তার প্রথা ও পন্থা ব্যক্তি মানুষটাকে পুনঃশিক্ষা দিতে চায়, তাকে ভিন্ন একটা মানুষে রূপান্তর করতে চায়। একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক নিজের জন্য ভাবেন না, তারা তোমাকে এ কথাই বলবে।' 'জেলগেটে দেখা' কবিতায় উপস্থিত সেই দেশপ্রেমিক আল মাহমুদ; যিনি চিন্তার সক্রিয়তা দিয়ে স্বদেশকে দেখেছেন। কথার সত্যকে জীবনের সত্যে সমীকৃত করে দিয়েছেন।

'রাস্তায় রাস্তায় অনাহারী শিশুদের মৃতদেহের ছবি দেখে

আমি কতদিন আমার কারাকক্ষের লোহার জালি

চেপে ধরেছি।

হায় স্বাধীনতা, অভুক্তদের রাজত্ব কায়েম করতেই কি আমরা

সর্বস্ব ত্যাগ করেছিলাম।

আর আমাকে ওরা রেখেছে বন্দুক আর বিচারালয়ের মাঝামাঝি

যেখানে মানুষের আত্মা শুকিয়ে যায়। যাতে

আমি আমরা উৎস খুঁজে না পাই।

কিন্তু তুমি তো জানো কবিদের উৎস কি? আমি পাষাণ কারার

চৌহদ্দিতে আমার ফোয়ারাকে ফিরিয়ে আনি।' (জেলগেটে দেখা)

সিমিকের বিবেচনায়—কবিতা হলো কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে সক্রিয় অন্য সব ক্ষমতা মোকাবেলার শক্তি। কবির কবিতায়ও ছিল সরব শক্তির মোকাবেলা। এই আত্মবিশ্বাসই আল মাহমুদকে ভিন্ন মানুষে রূপান্তরিত করেছে। এই বিশ্বাসে তিনি কবিদের উৎসও জানতে উন্মুখ। তিনি জানতেন প্রার্থনার শক্তির সমান্তরালে থাকে দ্রোহের শক্তি।

মনে পড়ে 'কানা মামুদের উড়াল কাব্য', 'কানা মামুদ, কানা মামুদ/ কোথায় পেলে ওড়ার বারুদ'। এই দ্রোহেরই সংগ্রাম করেছিলেন আল মাহমুদ জীবনভর। মাঝখানে এক প্রবল ঝড় এসে তাকে উড়িয়ে নিয়ে গেল ভিন্ন লোকে। তার নিজের ভাষায় এর উপযুক্ত জবাবও হয়তো মিলবে অন্বেষণে-অন্বেষণে। 'আধুনিক বাঙলা কবিতা' সংকলনে তো আল মাহমুদ অন্তর্ভুক্ত হননি। যদিও শাসকগোষ্ঠীর আশ্রয়-লালিত কিছু কবিদের কবিতা সেখানে প্রশ্নবিদ্ধই রয়ে গেছে! আল মাহমুদ বলেন, আমার "সবচেয়ে যে বইটিকে বামপন্থী বলা হয়, তাদের আগ্রহ যেটিতে বেশি, তাতে 'প্রত্যাবর্তনের লজ্জা' বলে একটি কবিতা আছে, সেখানে কোরআনের একটা আয়াত আছে—'ফাবি আইয়ি আলা ই রাব্বিকুমা তুকাজ্জিবান'।

আমি আমার ঐতিহ্য ধর্মকে পরিত্যাগ করে এসেছি, এটা তারা কখনোই প্রমাণ করতে পারেনি। ব্যক্তিগতভাবে আমাকে তারা গালিগালাজ করে। এলিয়টের মতে, বাইবেলের 'সাম' কিংবা 'ইসাইয়াহ্' অংশ জীবন-অভিজ্ঞতার সমান্তরালেই জন্ম নেয়। এলিয়ট অবশ্য এমনও বলেন যে, বাইবেলকে সাহিত্য হিসেবে বিবেচনা না করে বরং সেটিকে শব্দের অভিজ্ঞতা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।

আল মাহমুদ আরও বলেন, 'অনেকে অপব্যাখ্যা করেন আমি নাকি সাম্প্রদায়িক হয়ে উঠেছি! এসব কুৎসা রটনায় আমার কিছু যায় আসে না! আমার কেন, কোন কবির কিছু যায় আসে না! রাজনীতি ও ধর্মকে, ধর্ম মানে ধর্মীয় উপমাকে আমি কবিতার দৃষ্টান্ত করে তুলেছি! যেমন উপকথা বা প্রবচনকেও আমি কবিতায় নিয়ে এসেছি!'

এসব কথায় কবি হিসেবে আল মাহমুদকে প্রবল আত্মবিশ্বাসী বলে মনে হয়। আসলে কবিতা হয়ে ওঠার সত্যতার বিষয়ে তিনি নিরাপস। নইলে কীভাবে রচিত হয় এমন আবেগ?

Comments

The Daily Star  | English
Attack on Bangladesh mission in Agartala

India must protect Bangladesh's diplomatic missions

Hostile rhetoric, mobilisations by Hindutva groups fuelling unrest

18h ago