জামিন পেলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান আহমেদ

সাবেক বিএনপি প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক বিএনপি প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

দুদকের মামলায় বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান আহমেদকে জামিন দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। তার বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে ২ কোটি ৯৫ লাখ টাকার আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ৪ কোটি ৫ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।  

আজ বৃহস্পতিবার বর্তমান এলডিপি নেতা রেদোয়ান আহমেদ আদালতের কাছে আত্মসমর্পণ করে তার আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন জানান। শুনানি শেষে, ঢাকা মেট্রোপলিটন স্পেশাল জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ বিশেষ বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।

বিচারক আগামী ১৩ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন।  

চলতি বছরের ৯ মে হাইকোর্ট রেদোয়ান আহমেদের জামিন বাতিল করে এবং তাকে নিম্ন আদালতের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়।

হাইকোর্ট বিচারিক আদালতকে রেদোয়ানের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির মামলার বিচার কার্যক্রম ১ বছরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন। 

এর আগে, ২০০৮ সালে এ মামলার কার্যক্রম বাতিলের জন্য রেদোয়ান আহমেদের রিট আবেদন নাকচ করে বিচারিক কার্যক্রম আবারও শুরুর নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

২০০৮ সালে রেদোয়ানের করা রিট আবেদনের শুনানির পর আদালত তাকে জামিন দেন। আদালত একইসঙ্গে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন এবং রুল দেন, কেন এই কার্যক্রমকে বাতিল করা হবে না। দুদককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

২০০৮ এর ৮ জুলাই, এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ রেদোয়ান আহমেদ ও তার স্ত্রী মমতাজ আহমেদের বিরুদ্ধে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে তিনি রাষ্ট্রপক্ষসহ ৩৫ জন সাক্ষীর নাম উল্লেখ করেন।

২০০৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর দুদক এই দম্পতির বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেছিল।

তবে হাইকোর্ট একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের জুলাই মাসে মমতাজ আহমেদের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম বাতিল করে।

স্বামীকে অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তার অভিযোগে মমতাজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

 

Comments

The Daily Star  | English

Modi gives forces ‘operational freedom’

Vows ‘crushing blow to terrorism’ after meeting top security brass; Pak FM fears ‘imminent incursion’

2h ago