উত্তরবঙ্গে আবারও বন্যার পূর্বাভাস

সর্বশেষ বন্যায় বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনা নদীর চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছিল। ছবি: মোস্তফা সবুজ/স্টার

উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে আবারও মাঝারি ধরনের বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যানুযায়ী, উজানের বৃষ্টিপাতের কারণে গতকাল রাত থেকে কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট জেলায় ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে।

গত ২৩ জুন বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আগামী ১৫ দিন থেকে ১ মাসের একটি বর্ধিত পূর্বাভাস দেয়। সেই তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর ও বগুড়ায় চরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তবে, এই সময় নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি থাকবে এবং জুলাইর প্রথম সপ্তাহে আবারও বিপৎসীমা অতিক্রম এবং একটি মাঝারি ধরনের বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।

সর্বশেষ বন্যায় বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনা নদীর চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছিল। ছবি: মোস্তফা সবুজ/স্টার

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '২৩ জুন দেওয়া বন্যার পূর্বাভাসে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। আপাতত ঈদের আগে এসব জেলায় বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে, ঈদের আগে যদি উত্তরবঙ্গের নদ-নদীগুলোর পানি বাড়তে থাকে, তাহলে ঈদের পরে মাঝারি ধরনের বন্যা হবে।'

কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঈদের আগেই উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোর নদীর পানি বাড়বে এবং বন্যা হওয়ার আশঙ্কাও অনেক বেশি।'

সর্বশেষ বন্যায় বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনা নদীর চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছিল। ছবি: মোস্তফা সবুজ/স্টার

এই সময় মাঝারি থেকে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কাও রয়েছে বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
eid-ul-azha emergency cases at pongu hospital

An Eid evening at Pongu Hospital: overflowing emergency, lingering waits

The hospital, formally known as NITOR, is a 1,000-bed tertiary medical facility that receives referral patients from all over the country

1h ago