সেশনজট নিরসন দাবিতে পাবিপ্রবিতে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিভাগের চেয়ারম্যানসহ কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। ছবি: সংগৃহীত

সেশনজট নিরসন ও নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নিজ বিভাগে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে এবং এ সময় তারা বিভাগের চেয়ারম্যানসহ কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে।

পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

শিক্ষার্থীদের দাবি, বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকদের অবহেলায় ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগে সময়মতো ক্লাস-পরীক্ষা না নেওয়ায় দীর্ঘ সেশন জটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে বিভাগে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।

এ বিষয়ে বিভাগের চেয়ারম্যানকে বারবার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু  এ পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিভাগে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, করোনা মহামারি চলাকালে শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির থাকলেও, অন্যান্য বিভাগে অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ করা হচ্ছে এবং পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগে একাধিক সেশনের শিক্ষার্থীরা একই বর্ষের পরীক্ষার্থী হলেও, পরীক্ষা না হওয়ায় অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন সবাই।

জানতে চাইলে ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাবিবুল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সেশনজট ও পরীক্ষা না নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। সাময়িক যে সমস্যা হয়েছিল তা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।'

যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শাখার অতিরিক্ত পরিচালক ফযলে রাব্বি খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগে শিক্ষক স্বল্পতার কারণে সময়মতো ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়ায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া এর আগে উপাচার্য না থাকায় সময়মতো রেজাল্ট দেওয়া যায়নি। এতেও কিছুটা সেশন জটের সৃষ্টি হয়েছে।'

ইতোমধ্যে এ সব সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

With Trump’s win, Bangladesh gets more investment queries from China

Chinese entrepreneurs are increasingly inquiring with Bangladeshi businesses over scope for factory relocations, joint ventures and fresh investments, apprehending that the new Trump administration might further hike tariffs on their exports to the US.

10h ago