ডিএনসিসির সব খালই দখল-অপদখলে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ছবি: বাসস

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সব খালই দখল-অপদখলের মধ্যে আছে বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সম্পত্তি বিভাগ সীমিত জনবল দিয়ে এসব খাল দখলমুক্ত করার চেষ্টা করছে।

স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকের শুরুতেই প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। 

মন্ত্রী জানান, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা ওয়াসা স্টর্ম সুয়ারেজ ও খাল সিটি করপোরেশনে হস্তান্তরের পর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, প্রকৌশল বিভাগ ও সম্পত্তি বিভাগের সমন্বিত প্রচেষ্টায় বিভিন্ন ক্রাশ প্রোগ্রাম গ্রহণ করে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৬টি খাল থেকে প্রায় ৭১ হাজার ৫৮৪ টন ভাসমান বর্জ্য, প্রায় ১০ হাজার টন মাটি /স্লাজ অপসারণ করা হয়েছে। খালের বর্জ্য পর্যবেক্ষণের জন্য বিভিন্ন খালে সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৩০ বছর মেয়াদী ইনট্রিগ্রেটেড সিটি মাস্টার প্ল্যান ফর ঢাকা (২০২০–২০৫০) প্রণয়ন করা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়িত হলে পরিচ্ছন্ন ও স্মার্ট সিটি তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

এছাড়া ঢাকা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের মাধ্যমে মহাখালী বাস টার্মিনাল ভেঙে নতুনভাবে পুনর্নিমাণসহ বিআরটি লাইন–৩ এর করিডোর রাস্তা উন্নয়ন কার্যক্রম করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

আবদুল লতিফের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রকল্প নেওয়া হবে।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানান, ঢাকা শহরের উভয় সিটি করপোরেশন এলাকায় দৈনিক পানির চাহিদা ২৬০–২৬৫ কোটি লিটার। অন্যদিকে ঢাকা ওয়াসার দৈনিক পানি উৎপাদনের সক্ষমতা ২৭০–২৭৫ কোটি লিটার। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় ঢাকা ওয়াসার পানি উৎপাদন সক্ষমতা বেশি।

সুতরাং চাহিদা অনুযায়ী পানি সরবরাহে ঘাটতি নেই বলেও জানান মন্ত্রী।

Comments

The Daily Star  | English
Chinese firms bullish on Bangladesh’s manmade fibre

Chinese firms bullish on Bangladesh’s manmade fibre

Non-cotton garments are particularly lucrative, fetching higher prices than traditional cottonwear for having better flexibility, durability

14h ago