আখাউড়ায় বন্যার পানি কমছে, এখনো অর্ধশতাধিক পরিবার পানিবন্দি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত গ্রামগুলোর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় অনেকটা কমে এসেছে। তবে কয়েকটি গ্রামে প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। রান্নাঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এখন বিপাকে পড়েছেন এসব পরিবারের সদস্যরা।
আকস্মিক পানির কারণে আখাউড়া স্থলবন্দরে গতকাল দিনভর আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হয়। অতিবর্ষণ ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে সেদিন ভোরে এই উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের কর্নেল বাজার সংলগ্ন আইড়ল এলাকায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে যায়।
এর আগে, গত শুক্রবার অতিবর্ষণ ও ত্রিপুরা রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টসহ আশপাশের অন্তত ৮টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়।
শনিবার সন্ধ্যায় মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম চৌধুরী দীপক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পানির প্রবল স্রোতে কর্নেল বাজার থেকে সীমান্তবর্তী ইটনা গ্রামে যাতায়াতের পিচ ঢালাই সড়কটি দ্বিখণ্ডিত হয়ে পড়ে। এতে শনিবার দিনভর প্রবল বেগে পানি প্রবাহিত হয়ে মনিয়ন্দ ও মোগড়া ইউনিয়নের অন্তত ১৭টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এতে অনেক পুকুরের মাছ পানির তোড়ে ভেসে যাওয়ায় চাষিরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ ছাড়াও, মনিয়ন্দ ইউনিয়নের বিএডিসির একমাত্র সেচ প্রকল্পটি পানির তোড়ে নষ্ট হয়ে গেছে।'
তবে আজ রোববার সকালে তিনি বলেন, 'প্লাবিত গ্রামগুলোর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় অনেকটা কমে গেছে। যেসব পরিবার স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছিল তারা বাড়ি ফিরে গেছে। তবে রান্নাঘর পানিতে ভিজে যাওয়ায় অনেক পরিবার বিপাকে পড়েছে।'
লোকালয়ে হঠাৎ পানি প্রবেশ করায় সীমান্তবর্তী গ্রামের অনেক মানুষ গতকাল বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেন। আখাউড়া স্থলবন্দর সংলগ্ন দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিকাপুর ও আবদুল্লাহপুর গ্রামের ৯০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে স্থানীয় আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। তারাও আজ সকালে বাড়ি ফিরে গেছে।
আখাউড়া স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান খলিফা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল আকস্মিক বন্যার কারণে আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত হলেও আজ সকাল থেকে পুরোদমে কার্যক্রম চলছে।'
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুরো উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।'
Comments