মিরাজের ঝলকে ২৬৫ রানে থামল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
এক পর্যায়ে ৩ উইকেটে ১৯৭ রান ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর। সেই জায়গা থেকে আর ৬৮ রান তুলতে বাকি ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলল তারা। দারুণ বল করে ক্যারিবিয়ানদের গুটিয়ে দেওয়ার মূল নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। দুই পেসার ইবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদও ক্রমাগত ভাল বল করে রাখলেন অবদান।
অ্যান্টিগায় দ্বিতীয় দিনের চা-বিরতির আগে ৬ উইকেটে ২৩১ রান ছিল স্বাগতিকদের পুঁজি। বিরতির পর ফিরে আর ৩৪ রান তুলতে বাকি ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। ২৬৫ রানে অলআউট হলেও ১৬২ রানের বড় লিড পেয়ে গেছে ক্যারিবিয়ানরা।
ক্যারিবিয়ান ইনিংসে ধস নামিয়ে ৫৯ রানে ৪ উইকেট নেন মিরাজ। ৫৯ রানে ২ উইকেট নেন খালেদ, ৬৫ রানে ২ উইকেট যায় ইবাদতের পকেটে।
স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট আর সহ-অধিনায়ক জার্মেইন ব্ল্যাকউড রাখেন বড় ভূমিকা। ব্র্যাথওয়েটের ৯৪ রানের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৩ রান আসে ব্ল্যাকউডের ব্যাট থেকে।
চা-বিরতির পর ফিরেই আলজেরি জোসেফকে দারুণ টার্ন করা বলে কট বিহাইন্ড বানান মিরাজ। ইবাদতের বলে কেমার রোচ ধরা পড়েন স্লিপে লিটন দাসের হাতে। ব্ল্যাকউড ঠিকেছিলেন এক প্রান্তে।
অভিষিক্ত গুডাকেশ মুটিকে নিয়ে জুটি বানাচ্ছিলেন তিনি। মুটিই নেন মেরে খেলে রান বাড়ানোর ভূমিকা। তার ইতিবাচক অ্যাপ্রোচে লিডটা দেড়শো ছাড়িয়ে নিতে পারে তারা।
এই জুটি অস্বস্তির কারণ হওয়ার আভাস দিচ্ছিল। ফের জুটি ভাঙার নায়ক মিরাজ। তবে এবার বল হাতে নয়। খালেদের বলে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে মিরাজের ক্যাচ হাতে জমান তিনি। শেষ উইকেট পেতে আর ১০ বল অপেক্ষা করতে হয় বাংলাদেশকে। জেডন সিলসকে ছেঁটে ইনিংস মুড়ে দেন মিরাজই। এর আগে দ্বিতীয় সেশনে মিরাজ ফেরান বিপদজনক কাইল মেয়ার্স ও জশুদা দা সিলভাকে।
Comments