নাটকীয় ৪৫ মিনিট, অতঃপর ফলাফল
সময় তখন রাত ৮টা ২০। নির্বাচন কমিশন কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের ৭২টি ভোটকেন্দ্রের ফল ঘোষণা করেছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর মধ্যে তখন টান টান লড়াই।
৭২ ভোটকেন্দ্রের ফলে রিফাত পেয়েছেন ৩৩৭৯৩ ভোট এবং সাক্কু পেয়েছেন ৩২৩২২ ভোট।
সেইসময় ভোটের চূড়ান্ত ফল জানতে নেতাকর্মীদের নিয়ে শিল্পকলা অডিটোরিয়ামে যেখানে ফল ঘোষণা করা হচ্ছিল সেখানে আসেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু।
সেইসময়ও রির্টানিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী ভোটকেন্দ্রের ফল ঘোষণা করছিলেন। জানিয়েছেন হাতে এসেছে ১০১টি ভোটকেন্দ্রের ফল। তবে তখনও কে কত ভোট পেয়েছেন ঘোষণা করেননি।
এরপর রাত ৯টার দিকে তুমুল করতালি আর শ্লোগান দিতে দিতে নৌকার মেয়রপ্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের কর্মী সমর্থকেরা সেখানে হাজির হন।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাক্কুর সামনে দাঁড়িয়ে টানা পাঁচ মিনিট তারা নৌকার তুমুল হর্ষধ্বনি দেন।
এরপরই রিফাতের সমর্থনে আরেকটি দলও একইভাবে সেখানে হাজির হয়।
হঠাৎ করেই রিফাতের কয়েকজন সমর্থক সাক্কুর ওপর মারমুখী হয়ে ওঠেন। দুই বারের নির্বাচিত মেয়র সাক্কুকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন তার সমর্থকেরা।
এইসময় রিটার্নিং কর্মকর্তা সবাইকে শ্লোগান বন্ধ ও শান্ত হওয়ার জন্য বলেন।
তবে এতে কোনো কাজ হয়নি।
রাত সোয়া ৯টার দিকে উত্তেজিত নেতাকর্মীদের থামাতে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। পুলিশ সাক্কুকেও সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে তিনি ভোটের ফল না নিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে অস্বীকৃতি জানান।
পরবর্তী ১০ মিনিট চলে পুলিশের অ্যাকশন।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, তারা সব কেন্দ্রের ফল পেয়েছেন এবং শিগগির ফল ঘোষণা করা হবে।
এরপরই রিটার্নিং কর্মকর্তা নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতকে মেয়র পদে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
রিফাত ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে সাক্কুকে হারিয়েছেন বলে জানান তিনি।
Comments