নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিহারী ক্যাম্পের বাসিন্দাদের সংঘর্ষ, আহত ৫

ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলায় পুলিশের অভিযানে ৩১ জনকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে বিহারী ক্যাম্পের বাসিন্দাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারসেল ও শটগানের ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ ও বিহারী ক্যাম্পের ৫ জন আহত হয়েছে।

সোমবার সকাল ১১টায় উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সামনে শিমরাইল-আদমজী-চাষাঢ়া সড়কে ওই ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৫ ঘণ্টা পর সড়কের যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সোমবার ভোররাত ১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ আদমজী বিহারী ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে ৩১ জনকে আটক করে। এসময় ৩১ জনের পরিবার বাধা দিলে তাদের সঙ্গে পুলিশ খারাপ ব্যবহার করে। এর প্রতিবাদে ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবিতে সকাল ৭টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সামনে শিমরাইল-আদমজী-চাষাঢ়া সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে বিহারী ক্যাম্পের বাসিন্দারা। এতে করে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সকাল ৯টা থেকে পুলিশ তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ ৩১ জনের মধ্যে কেউ নিরপরাধ থাকলে তাকে ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা ৩১ জনের মুক্তির দাবি করলে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। এক পর্যায়ে পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দেয়। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে শুরু কলে পুলিশও টিয়ার সেল, শটগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় পুলিশের লাঠিচার্জে বিহারী ক্যাম্পের ৩ জন ও বিক্ষোভকারীদের ইটপাটকেলে পুলিশের ২ কনস্টেবল আহত হয়। বেলা ১২টায় সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিহারী ক্যাম্পের এক বাসিন্দা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ৩১ জনের মধ্যে ৮ থেকে ১০ জন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। এছাড়াও একাধিকবার মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে। 

নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত শুক্রবার মসজিদে পুলিশের এক এসআইকে মারধর মামলায় আসামি ধরাসহ মাদক, সন্ত্রাস বিরোধী নিয়মিত অভিযান চালায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। এই অভিযানে ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের ছাড়িয়ে নিতে বিহারী ক্যাম্পের লোকজন থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। এ সময় পুলিশ ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে পুলিশ। তবে এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।'

Comments

The Daily Star  | English

Battery-run rickshaws allowed back on Dhaka roads for one month

SC chamber judge issues status quo on HC order

2h ago