টিপু হত্যা মামলায় মুসা ৬ দিনের রিমান্ডে

মুসাকে ওমান থেকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসার পর শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজশিক্ষার্থী সামিয়া আফরান জামাল প্রীতি হত্যার ঘটনায় করা মামলায় মূল সন্দেহভাজন সুমন শিকদার ওরফে মুসার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহা দিবা ছন্দা এ আদেশ দেন।

এর আগে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার মুসাকে আদালতে হাজির করে ১৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

রিমান্ড আবেদনে আইও বলেন, মুসা ওই হত্যাকাণ্ডের সমন্বয় করেছিলেন এবং টিপু হত্যায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন।

তিনি আরও জানান, এ মামলায় গ্রেপ্তার অপর দুই আসামি মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশ ও মো. নাসিরুদ্দিন মানিক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডে মুসার সংশ্লিষ্টতার কথা জানিয়েছে।

তাই ওই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের জন্য তাকে রিমান্ডে নেওয়া দরকার বলেও উল্লেখ করেন আইও ইয়াসিন সিকদার।

অপরদিকে মুসার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনো যোগসূত্র নেই বলে রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে বিবাদীপক্ষ একটি আবেদন জমা দেয়।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট আত্মপক্ষ সমর্থনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুসাকে রিমান্ডে পাঠান।

গতকাল বৃহস্পতিবার ৪৩ বছর বয়সী মুসাকে ওমান থেকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসে পুলিশ।

ডিবি সূত্র জানায়, ওমান পুলিশ ১২ মে মুসাকে সালালাহ শহরের একটি মাজারে নামাজ পড়ার পর গ্রেপ্তার করে।

গত ২৪ মার্চ রাতে শাহজাহানপুরের আমতলী এলাকায় হেলমেটধারী আততায়ীর গুলিতে নিহত হন টিপু। সে সময় গাড়ির কাছেই রিকশায় থাকা বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সামিয়া আফনান প্রীতিও গুলিতে নিহত হন।

এ ঘটনায় টিপুর স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ডলি শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন।

টিপু হত্যার আগেই ১২ মার্চ খুন ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রাখার মামলাসহ মোট ১১টি মামলার আসামি মুসা দুবাই পালিয়ে যান।

Comments

The Daily Star  | English

Palak admits shutting down internet deliberately on Hasina's order

His testimony was recorded by the International Crime Tribunal's investigation agency following a questioning session held yesterday

1h ago