‘জীবিত হোক, মৃত হোক আমার ভাইকে ফিরিয়ে দিন’

চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে বড় ভাইয়ের ছবি হাতে মো. রাসেল। ছবি: সঞ্জয় কুমার বড়ুয়া/স্টার

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাতে একটি ছবি হাতে বড় ভাই আবুল হাশেমকে (৪৫) খুঁজছিলেন মো. রাসেল। তিনি গতকাল রাত ২টা থেকে চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি বহু হাসপাতালে ছুটোছুটি করেছেন। তবু ভাইয়ের সন্ধান মেলেনি।

 রাসেল জানান, তার ভাই সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ১৫ বছর কাজ করেছেন। ডিপোতে কাভার্ডভ্যান চালক হিসেবে কাজ করেন তিনি। গতকাল রাত ৯টার দিকে সর্বশেষ স্ত্রীর সঙ্গে তার কথা হয়। এর পর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

ডিপোতে আগুন লাগার খবর পাওয়ার পরই ভাইয়ের সন্ধানে বের হন মো. রাসেল। ডিপো থেকে দগ্ধদের উদ্ধার করে চট্টগ্রামের যেসব হাসপাতালে আনা হয়েছে তার সবগুলোতে ভাইকে খুঁজেছেন তিনি।

আজ রোববার বেলা ৩টার দিকে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ভাইয়ের ছবি হাতে রাসেলকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, রাত থেকে হাসপাতালে হাসপাতালে খুঁজছি। কোথাও ভাইকে পাচ্ছি না। জীবিত হোক, মৃত হোক আমার ভাইকে ফিরিয়ে দিন।

তিনি আরও জানান, আবুল হাশেম সীতাকুণ্ডের কুমিরায় তার পরিবার নিয়ে বসবাস করত। বাড়িতে তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।

গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় সীতাকুণ্ডে বেসরকারি বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিটের সঙ্গে আজ রোববার সেনাবাহিনীর ২৫০ জন অগ্নিনির্বাপণের কাজে যুক্ত হয়েছে বলে আইএসপিআর জানিয়েছে। হাসপাতালে ৪০ জনের মরদেহ এসেছে।

আগুন লাগার পর প্রায় ১৯ ঘণ্টা পর আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

Comments