ইভিএম না থাকলে রাতেই ভোট নিয়ে ফেলতাম: আ. লীগ প্রার্থী

নির্বাচনী সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন মুজিবুল হক চৌধুরী। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বাটন চাপতে না পারলে তা চাপার জন্য ভোটকেন্দ্রে নিজের লোক রাখবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী।

একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ইভিএম না থাকলে তিনি রাতেই ভোট নিয়ে ফেলতেন।

গত শনিবার চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী নির্বাচনী সভায় এমন বক্তব্য দেন। তার দেওয়া এ বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় দেওয়া ওই বক্তব্যে মুজিবুল হক চৌধুরীকে বলতে শোনা যায়, 'তো এখানে ইভিএম একটা করেছে সরকার। তো কী করতাম। একটু কষ্ট করে গিয়ে আঙুলে চাপ দিয়ে ভোট দিতে হবে। চাপ দিতে না পারলে চাপ দেওয়ার জন্য সেখানে আমি মানুষ রাখব। তো আমাকে একটু দোয়া করবেন সকলে।'

সভায় উপস্থিত সবাইকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, 'রিকশা করে পারেন, যেভাবে পারেন ভোটটা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। কারণ, ইভিএমের ভোট। ইভিএম না হলে আমি কাউকে খুঁজতাম না, ভোট আমি মেরে দিতাম। যেভাবে পারি ভোটটা মেরে দিতাম।'

এ পর্যায়ে তাকে আবার বলতে শোনা যায়, 'ইভিএমে আইডি কার্ড ঢুকিয়ে দিতে হয়, নইলে হয় না। এটা না হলে আমি রাতেই নিয়ে ফেলতাম। তো আপনারা একটু কষ্ট করেন, আপনাদের একটু কষ্ট করে ওটা নিয়ে যেতে হবে। গিয়ে মেশিনে ফিঙ্গার দিতে হবে। কথা বুঝেননি?'

মুজিবুল হক চৌধুরীর এই বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি ভুয়া বলে দাবি করেন।

দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'আমি শিশু নই। আমি বর্তমান চেয়ারম্যান। আমি কি প্রকাশ্য সমাবেশে এমন একটি শিশুসুলভ বক্তব্য দিতে পারি?'

তার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য প্রতিপক্ষের লোকেরা ভিডিওটি তৈরি করে প্রচার করছে বলেও দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান।

যোগাযোগে করা হলে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সাল আলম জানান, মুজিবুল হককে তার বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

এই নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Remittances grow 3% in January

Migrants sent home $2.18 billion in the first month of 2025

3h ago