পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে দ. কোরিয়ার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই

ছবি: সংগৃহীত

পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার ও সহযোগিতার জন্য দক্ষিণ কোরিয়া পরমাণু শক্তি গবেষণা ইনস্টিটিউট (কেএইআরআই) এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের (বিএইসি) মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

আজ বুধবার ঢাকায় এই চুক্তি সই হয়।

রাজধানীর বিএইসি ভবনে কেএইআরআই-এর প্রেসিডেন্ট ড. পার্ক ওয়ান সক, বিএইসি-এর চেয়ারম্যান ড. মো. আজিজুল হক, বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত লি জাং-কুনসহ ২ প্রতিষ্ঠোনের কর্মকর্তারাদের উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।  

সমঝোতা স্মারক অনুসারে, কেএইআরআই ও বিএইসি পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করবে। যার মধ্যে রয়েছে গবেষণা চুল্লির উন্নয়ন, ব্যবহার এবং আপগ্রেড, রেডিওআইসোটোপের উৎপাদন এবং প্রয়োগ, বিকিরণ প্রযুক্তির বিকাশ, নিউট্রন বিজ্ঞান এবং পারমাণবিক বা তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। 

কোরিয়া আশা করে যে এমওইউ স্বাক্ষর দুটি সংস্থার মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতাকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ গতি প্রদান করবে।

গত ৫০ বছরে কোরিয়ার হানারো, জর্ডানের জেআরটিআর, নেদারল্যান্ডসের ওইস্টারের উন্নয়নের মাধ্যমে কেএইআরআই একটি দৃঢ় অবকাঠামো এবং সেইসঙ্গে গবেষণা চুল্লির অপারেশন জ্ঞান প্রতিষ্ঠা করেছে উল্লেখ করে, ড. পার্ক ওয়ান সক পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার ও গবেষণায় বিশ্বস্ত অংশীদারত্ব জোরদার করার আশ্বাস প্রদান করেন। 

রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কুন জোর দিয়ে বলেন, আজ এই সমঝোতা স্মারক সই কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি তাৎপর্যপূর্ণ অর্থ বহন করে কারণ এটি পারমাণবিক শক্তি ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সহযোগিতার একটি নতুন পথ খুলে দিয়েছে। ২ দেশ আগামী বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে বলে মনে করিয়ে দিয়ে তিনি জানান, উভয় দেশই কয়েক দশকে ধরে আরএমজি, মানবসম্পদ উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও আইসিটি ক্ষেত্রে সাফল্যের ভিত্তিতে সহযোগিতার ক্ষেত্রকে বৈচিত্র্যময় করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 

কেএইআরআই-এর প্রতিনিধিদল ২৬ মে বাংলাদেশ ট্রেনিং রিসার্চ রিঅ্যাক্টর পরিদর্শন করবে।

 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

4h ago