রেকর্ড জুটিতে মুশফিক-লিটনের লড়াই

ছবি: স্টার

দুই ওপেনার টিকতে পারেননি দুই ওভারও। সাত ওভার না শেষ হতে শেষ পাঁচ উইকেট। রীতিমতো লেজ বেরিয়ে যাওয়ার দশা। তাতে মনে হয়েছিল প্রথম সেশনেই না কুপোকাত হয়ে যায় টাইগাররা। তবে সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেছেন দলের দুই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লিটন কুমার দাস ও মুশফিকুর রহিম। জুটির নতুন রেকর্ড গড়েই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এ দুই ব্যাটার।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিনে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫ উইকেটে ১৪৭ রান করেছে বাংলাদেশ। মুশফিক-লিটনের জুটিতে এখন পর্যন্ত এসেছে ১২৩ রান।

এদিন দলীয় ২৪ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। এরপর শতরানের জুটি গড়েন মুশফিক-লিটন। ক্রিকেটের ইতিহাসে ২৫ রানের কমে ৫ উইকেট হারানোর পর ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে এতো বড় জুটি গড়ার রেকর্ড নেই। এর আগে সর্বোচ্চ ৮৬ রান এসেছিল ঢাকাতেই। ১৯৫৯ সালে বর্তমানের বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ২২ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর পাকিস্তানের ওয়ালিস মাথিয়াস ও সোজাউদ্দিন গড়েছিলেন ৮৬ রানের জুটি।

অবশ্য শতরান হওয়ার ঠিক পরপরই ভাঙতে পারতো এ জুটি। আসিথা ফের্নান্ডোর করা ৩৯তম ওভারের প্রথম বলে হুক করতে গিয়ে শর্ট লেগে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন লিটন। তবে ক্যাচ ধরতে গিয়ে বলের ফ্লাইট মিস করে তালুবন্দি করতে পারেননি কুশল মেন্ডিস। প্রথম সেশনের আগে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করে মাঠ ছেড়েছিলেন এ ফিল্ডার। লিটন তখন ব্যাট করছিলেন ৪৭ রানে।

তবে সে সুযোগে দলের ইনিংসের মেরামতটা ভালোভাবেই করছেন লিটন। সে ওভারের পঞ্চম বলে বাউন্ডারি মেরে পূরণ করেছেন নিজের ১৩তম ফিফটি। পরের বলেও মেরেছেন আরও একটি। এ প্রতিবেদন করা পর্যন্ত ১১৬ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত আছেন। তাতে বাউন্ডারি মেরেছেন মোট ১০টি।

মুশফিক সে তুলনায় কিছুটা দেখে খেলছেন। যদিও চট্টগ্রামের টেস্টের তুলনায় বেশ আগ্রাসী। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার সংগ্রহ ৬১ রান। ১৪১ বল মোকাবেলা করে ১০টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি।

এর আগে সকালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। কাসুন রাজিথার ভেতরে ঢোকা বল আলসে ভঙিতে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান মাহমুদুল হাসান জয়। পরের ওভারে বিদায় নেন তামিম ইকবালও। ফের্নান্ডোর আউটস্যুয়িং ডেলিভারি ফ্লিক করতে গিয়ে আউটসাইড এজড হয়ে তামিম ক্যাচ দেন পয়েন্টে।

রানখরায় থাকা বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হকও হতাশ করেছেন। আসিথার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ব্যক্তিগত ৯ রানে। আর রাজিথার ভেতরে ঢোকা বলে বোল্ড হন নাজমুল হোসেন শান্ত। সাকিব আরেকটি ভেতরে ঢোকা বলে হয়ে যান এলবিডব্লিউ। ফলে ২৪ রানে ৫ উইকেট ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপ।

Comments

The Daily Star  | English

Netanyahu says Israel close to meeting its goals in Iran

JD Vance says US at war with Iran's nuclear programme, not Iran

20h ago