মানিকগঞ্জে ৫৭৩১ মেট্রিক টন ধান, ৪৩৮২ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা

manikganj-paddy.jpg
আজ ৪০০ কেজি ধান কেনার মধ্য দিয়ে ধান সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন হয়। ছবি: স্টার

এবার মানিকগঞ্জে ৫ হাজার ৭৩১ মেট্রিক টন ধান ও ৪ হাজার ৩৮২ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধানের মূল্য কেজিপ্রতি ২৭ টাকা ও চালের মূল্য কেজিপ্রতি ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আজ মানিকগঞ্জ জেলা শহরের বেউথা খাদ্যগুদামে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান (ধান-চাল) সংগ্রহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।

আজ সকাল ১০টায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া-দিঘি এলাকার কৃষক আব্দুল মালেক মোল্লার কাছ থেকে ৪০০ কেজি ধান কেনার মধ্য দিয়ে ধান সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ। সেসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ রিয়াদ কামাল রনি, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. ইলিয়াস মিয়া, বেউথা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দেবনাথ ও মানিকগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর কবীর হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ রিয়াদ কামাল রনি বলেন, 'খাদ্য সংগ্রহের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি' নামের অ্যাপসের মাধ্যমে মানিকগঞ্জের ৩টি উপজেলা—সিঙ্গাইর, শিবালয় ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষকদের কাছ থেকে আবেদন সংগ্রহ করার পর লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত কৃষকদের কাছ থেকে ধান ও চাল সংগ্রহ করা হবে। জেলার অন্য ৪ উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের কাছ থেকে পাওয়া তালিকা অনুযায়ী কৃষক নির্বাচন করা হবে। একজন কৃষক সর্বোচ্চ ৩ মেট্রিক টন ধান বা চাল দিতে পারবেন। ধান ও চালের মূল্য পরিশোধ করা হবে তাদের অ্যাকাউন্টে চেকের মাধ্যমে। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে এবারের ধান ও চাল সংগ্রহের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ধান সংগ্রহ করাটাই আমদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। কেননা, একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ও যাচাই-বাছাই করে ১৪ শতাংশ আদ্রতার নিচের ধান সংগ্রহ করতে হয়। অন্যদিকে, ধান কাটার পর খুব সহজেই বাজারে নিয়ে ধান বিক্রি করা যায়। এক্ষেত্রে কৃষকরা দামও কিছুটা ভালো পায়। এসব কারণে তারা স্থানীয় বাজারেই ধান বিক্রি করে থাকে। তবে, মানিকগঞ্জে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই।'

জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, 'এবার মানিকগঞ্জে ধানের আবাদ ও ফলন ভালো হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত কৃষকদের কাছ থেকে ধান ও চাল কেনা হবে। ধানের দাম কেজিপ্রতি ২৭ টাকা ও চালের দাম ধরা হয়েছে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা।'

কৃষক আব্দুল মালেক মোল্লা বলেন, 'আমি অ্যাপসের মাধ্যমে আবেদন করেছিলাম। কৃষক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর আজ ৪০০ কেজি ধান খাদ্য গুদামে দিলাম। আমাকে ডব্লিউকিউএসসি দেওয়া হয়েছে। আমার নামে কৃষি ব্যাংকে কৃষি অ্যাকাউন্ট আছে। সেখানে এটা জমা দিলেই আমি টাকা পেয়ে যাবো।'

Comments

The Daily Star  | English

Drafting new constitution can take a long time: Asif Nazrul

He proposed that the next parliament can act as constitutional authority and amend the 1972 constitution until a new one is enacted

23m ago