বিকল্প অফ স্পিনার খুঁজে পাচ্ছে না বাংলাদেশ!
আঙুলের চোটে ঢাকা টেস্ট থেকে ছিটকে পড়া অফ স্পিনার নাঈম হাসানের জায়গায় আর কাউকে নিচ্ছে না বাংলাদেশ দল। বলা ভালো, লাল বলে খেলতে পারেন তেমন কাউকে নাকি খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না স্কোয়াডে থাকা ব্যাটিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের উপরই আপাতত ভরসা রাখতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জরুরী সভায় বসেন টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যরা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট ও আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর নিয়ে হয় আলোচনা।
এই সভা থেকে বেরিয়ে ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, 'নাঈমের বিকল্প আপাতত কাউকে নেওয়া হচ্ছে না। মোসাদ্দেক স্কোয়াডে আছে।'
'এখন তো আবার স্পিনারে অভাব হয়ে গেছে, নাঈম-মিরাজ চোটে আছে। এখন কিছু করার নাই এখন যে দল আছে সেখান থেকেই স্পিনারের ঘাটতি পূরণ করতে হবে।'
চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে নিজের বলে ফিল্ডিং করতে গিয়ে আঙুলে চোট পান নাঈম। পরে এক্স-রে করে দেখা যায় তার ডানহাতের মধ্যমায় আছে চিড়। এই চিড় নিয়ে ম্যাচের পঞ্চম দিন বল করেছেন তিনি। পরে জানা যায়, অন্তত মাসখানেকের জন্য তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।
গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মেহদী হাসান মিরাজ আঙুলের চোটে ছিটকে যান। তার জায়গায় নেওয়া হয় নাঈমকে। সেই নাঈমও চোটে ছিটকে গেলেন এক টেস্ট খেলে।
স্কোয়াডে থাকা মোসাদ্দেক মূলত ব্যাটসম্যান। এর আগে তিন টেস্ট মিলিয়ে মোটে ১৫ ওভার বল করে কোন উইকেট পাননি তিনি। প্রথম শ্রেণীতে ৪২ ম্যাচ খেলে মোসাদ্দেক নিয়েছেন স্রেফ ২৯ উইকেট।
নাঈমের বদলে কাউকে নেওয়ার খুব বেশি বিকল্পও ছিল না। লাল বলে ভালো করতে পারেন এমন অফ স্পিনার একজনও নেই পাইপলাইনে। শুভাগত হোম হতে পারতেন বিকল্প। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই জাতীয় দলের পুলে রাখা হচ্ছে না তাকে।
গত মৌসুমে প্রথম শ্রেণীতে অবশ্য দারুণ মৌসুম কাটান শুভাগত। জাতীয় লিগে ৬ ম্যাচে ১৭.৭০ গড় নেন ২০ উইকেট। জাতীয় লিগ ও বিসিএল মিলিয়ে ২৬.১৫ গড়ে পান ২৬ উইকেট। ব্যাটিংয়ে ৫৯.১৮ গড়ে করেন ৬৫১ রান। তবে টেস্টে একদিন আগে হুট করে তাকে দলে নেওয়ার দিকে যায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। তাকে সিস্টেমের মধ্যে রাখলে হয়ত এই সংকটে পড়তে হতো না।
Comments