কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা আছে: জিএম কাদের

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে নাজমিন সুলতানা তুলির নেতৃত্বে একদল নারী উদ্যোক্তা জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জিএম কাদের। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, কর্তৃত্ববাদী সরকারের সামনে প্রশাসন বা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো অসহায় হয়ে পড়ে। তাই কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা আছে।

তিনি বলেন, 'ইতোমধ্যে সরকার প্রধান ঘোষণা করেছেন আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। সবগুলো আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ না করলেও, যেসব আসনে সরকার দলীয় প্রার্থীরা প্রকাশ্যে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না সেখানে হয়তো ইভিএমে ভোট গ্রহণ চলবে।'

তিনি বলেন, 'জাতীয় পার্টি প্রহসনের নির্বাচন চায় না।'

আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোকিত মানুষ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাজমিন সুলতানা তুলির নেতৃত্বে একদল নারী উদ্যোক্তা জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। এসময় তাদের স্বাগত জানিয়ে দেওয়া বক্তৃতায় এ কথা বলেন জিএম কাদের।

জিএম কাদের বলেন, 'বর্তমানে দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। সকল ক্ষেত্রে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রাজনীতিবিদদের কোনো কর্তৃত্ব নেই। তাই দেশের জনগণের কাছে কারো জবাবদিহিতা নেই।'

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, 'আওয়ামী লীগ ও বিএনপির আদর্শগত পার্থক্য থাকলেও, চরিত্রগত কোনো পার্থক্য নেই। দল দুটি দুর্নীতি, দুঃশাসন, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দলবাজি করে মানুষের মাঝে বিভেদ তৈরি করেছে। তারা বারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে দেশের মানুষের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। দেশের মানুষের কোনো অধিকার নেই, দেশের মানুষের নিরাপত্তা নেই। হাসপাতালের জন্য বড় বড় ভবন তৈরে হচ্ছে, কিন্তু হাসপাতালে ডাক্তার নেই, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করা হচ্ছে, কিন্তু সেখানে লেখাপড়া নেই, ছাত্রদের শুধু পাশ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আবার মাদক নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। অভিযোগ আছে জাতিকে ধ্বংস করতে মাদক বিস্তারে ক্ষমতাসীনরা জড়িত।'

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, 'আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কোনো জোটে যাবে তা নির্বাচনের পূর্বে পরিস্থিতি ও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে, বর্তমানে ৩০০ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েই রাজনীতির মাঠে এগিয়ে চলছে জাতীয় পার্টি।'

এসময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, 'ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। গত ৩ বছরে মানুষের ব্যয় বেড়েছে ৪০ শতাংশ, কিন্তু আয় বাড়েনি। আওয়ামী লীগের দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কারণে দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায় না। মন্ত্রীরা যা বলেন, তা সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করেন না।'

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Terrorism Act

Govt issues ordinance amending Anti-Terrorism Act

Activities of certain entities, and activities supporting them can now be banned

2h ago