দ. কোরিয়া ও জাপান সফরে বাইডেন

হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে সংবাদ সম্মেলনে জো বাইডেন। ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানে ৬ দিনের সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আজ বৃহস্পতিবার বার্তাসংস্থা এপি জানায়, এ সফরের মূল উদ্দেশ্য দুই দেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে সুসম্পর্ক জোরদার করা ও চীনের প্রতি জোরালো সতর্কবার্তা দেওয়া।

বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেনের ব্যর্থ হতে চলা রুশ আগ্রাসন থেকে বেইজিংয়ের শিক্ষা নেওয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের পেশীশক্তি দেখানোর আগে বিষয়টিকে মাথায় রাখতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ সফর।

বাইডেন দক্ষিণ কোরিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তাদের আলোচনার বিষয়বস্তুর মধ্যে বাণিজ্য, বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনের সহনশীলতা বাড়ানো, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ এবং দেশটিতে হঠাৎ করে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া।

জাপানে থাকাকালে বাইডেন ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলগত জোট কোয়াড নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। 

বাইডেনের নেতৃত্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক মিত্রদের সঙ্গে একটি ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছে। এই জোট ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিতে তাদের অর্থনৈতিক দক্ষতাকে একত্রিত করেছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান এই জোটের অংশ।

বিশ্লেষকদের মতে, চীনের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার সঙ্গে পাল্লা দিতে হলে বাইডেনকে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে হবে এবং মূলত এ কারণে তার এ সফর।

গত মাসে, মার্কিন পার্লামেন্ট মেম্বারদের একটি দল তাইওয়ানে আলোচনার জন্য যাওয়ার পর চীন তাইওয়ানকে ঘিরে সামরিক মহড়া চালায়। 

পূর্ব চীন সাগরের সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জের চারপাশে জাপানি জলসীমায় বেশ কয়েকবার চীনের সামরিক জাহাজ অনুপ্রবেশের খবর দিয়েছে জাপান। এই নির্জন দ্বীপপুঞ্জটি মূলত জাপানের নিয়ন্ত্রণে আছে,  তবে চীন একে নিজেদের দেশের অংশ হিসেবে দাবি করে এবং তারা একে ডিয়াওয়ু বলে।

এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়া গত সপ্তাহে দায়িত্ব নেওয়া প্রেসিডেন্ট ইউনের অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরও কাছে ঝুঁকতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট তার পূর্বসূরিকে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করে চীনের 'আজ্ঞাবহ' বলে সমালোচনা করেছেন। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকিকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য ইউন একটি শক্তিশালী মার্কিন নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি অনুসন্ধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

হোয়াইট হাউজের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা জেক সুলিভান জানান, মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা নিশ্চিত হয়েছেন যে বাইডেনের এশিয়া সফরের সময় উত্তর কোরিয়া আরও একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা পারমাণবিক পরীক্ষা পরিচালনা করার বাস্তবসম্মত সম্ভাবনা রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

S Alam threatens int'l legal action against govt over asset freezing: FT

Alam says his family's bank accounts were frozen, they were subjected to travel bans, and they lost control of their companies, all while facing investigations for alleged money laundering without formal notification.

8m ago