যে পরিকল্পনায় দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশকে হারাতে চায় শ্রীলঙ্কা

ম্যাচ শেষে দুদল। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

উইকেটের চরিত্র বিচারে প্রথম টেস্টের ফল দু'দলের কাছেই ছিল প্রত্যাশিত। খেলার শেষ দিকটা তাই উত্তাপহীন। এই ম্যাচ নিয়েও আর কারো নেই তেমন কোন আগ্রহ। খেলা শেষ হতেই তাই ঢাকায় পরের টেস্টের পরিকল্পনা জানিয়ে দিল শ্রীলঙ্কা দল।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার টেস্টের পঞ্চম দিনটায় বলার মতো কিছুই হয়নি। অনেকটা অনুমিত পথেই এগিয়েছে ছক। দিনের এক ঘণ্টা আগে ড্র মেনে নেয় দুদল। পরে সংবাদ সম্মেলনে লঙ্কানদের হয়ে কথা বলতে আসেন দলের সহ-অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।

এই টেস্টের রোমাঞ্চহীন পরিস্থিতির পর পরের টেস্ট নিয়েই সবার আগ্রহ। সেই টেস্ট যে ভেন্যুতে হবে সেই মিরপুর শেরে বাংলার মাঠ ফল বান্ধব। উইকেটে অনেক টার্ন থাকায় স্পিনাররাই নেন মুখ্য ভূমিকা।

দ্বিতীয় টেস্টে একজন পেসার কমিয়ে স্পিন বান্ধব একাদশ সাজানোর পরিকল্পনা জানিয়ে দেন ধনঞ্জয়া। এমনকি কীভাবে খেললে ফল নিজেদের দিকে আনা যায় সেটাও জানান তিনি, 'অবশ্যই একজন পেসার ও তিন স্পিনার খেলবে। উইকেট স্পিনারদের সহায়তা করবে। আমরা যদি আগে ব্যাট করে, আমরা ২৭৫-৪০০ করার চেষ্টা করব। এবং পরে তাদের একটা ইনিংস ১৫০ রানে আটকে দিতে চেষ্টা করব। তাহলে আমাদের জন্য জেতার সুযোগ থাকবে।

প্রথম টেস্টে দুই পেসারের সঙ্গে বাঁহাতি স্পিনার  লাসিথ এম্বুলদেনিয়া ও অফ স্পিনার রমেশ মেন্ডিসকে খেলায় শ্রীলঙ্কা। স্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে ছিলেন ধনঞ্জয়া নিজেও।

ঢাকায় এক পেসারের জায়গায় আরেক বাঁহাতি স্পিনার প্রবিন জয়াবিক্রমাকেও খেলাবে সফরকারীরা।

এরপরও স্পিন আক্রমণে অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ থাকবে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান, তাইজুল ইসলামের সমান অভিজ্ঞতা নেই তাদের কারো। তাদের সঙ্গে থাকা নাঈম হাসান প্রথম টেস্টেই ৬ উইকেট নিয়ে আছেন তেতে। নিজেদের মাঠে লঙ্কান ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষাই দেওয়ার কথা তাদের।

২০১৮ সালে অবশ্য মিরপুরেই বাংলাদেশকে ধসিয়ে দেন শ্রীলঙ্কা। নিজেদের মাঠে লঙ্কানদের কখনই টেস্টে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। ২৩ টেস্টের মধ্যে একমাত্র জয় কলম্বোয়। ধনঞ্জয়াদের বিশ্বাস এবারও হবে তেমনটাই।

Comments