‘যেখানেই হাত দেওয়া হচ্ছে, সেখানেই অনিয়ম পাওয়া যাচ্ছে’

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ইআরএফের সেমিনারে বক্তব্য দিচ্ছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, 'সব জায়গায়ই অনিয়ম রয়েছে। যেখানেই হাত দেওয়া হচ্ছে, সেখানেই অনিয়ম পাওয়া যাচ্ছে।'

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) যৌথ আয়োজনে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সেমিনারে তিনি বলেন, 'ভোক্তা অধিদপ্তরের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো সঠিক তথ্যের অভাব। এই সংস্থার তথ্যের বৈধ উৎস নেই। ভোক্তা বা ব্যক্তিগত উৎস থেকে যে তথ্য পাওয়া যায়, সেগুলোর সঠিকতা যাচাই করারও সুযোগ নেই।'

'এজন্য ভোক্তা অধিদপ্তর সব গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে যৌথভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে,' বলেন তিনি।

মহাপরিচালক বলেন, 'ভোক্তারা প্রতারিত হতে হতে এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, এখন অধিকার খর্ব হচ্ছে সেটাই আর বুঝতে পারে না।'

বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি ভোজ্যতেল সংকট নিয়ে বলেন, 'তথ্য অনুযায়ী তেলের সংকট হওয়ার কথা নয়। কিন্তু সংকট হয়েছে। কোম্পানিগুলো উৎপাদন কমিয়েছে। ব্যবসায়ীরা সরবরাহ আদেশ ধরে রাখছে। এক কথায় এই বাজারে এক ধরনের মনোপলি বা সিন্ডিকেট হয়ে গেছে।'

'এসব জেনে বুঝেও কিছু করার থাকছে না। কারণ একটি বা দুটি বড় কোম্পানি কোনো অজুহাতে উৎপাদন বন্ধ রাখলে যে সংকট হয়েছে, তার চেয়ে বড় ধরনের সংকটের আশঙ্কা আছে। সরকার চায় পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতে,' যোগ করেন তিনি।

ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মনজুর মোহাম্মাদ শাহরিয়ার, ক্যাবের উপদেষ্টা কাজী আব্দুল হান্নান।

Comments

The Daily Star  | English
explanations sought from banks for unusual USD rates

Explanations sought from 13 banks for higher dollar rate

BB issued letters on Dec 19 and the deadline for explanation ends today

2h ago