আল-জাজিরার সাংবাদিক শিরিনকে হত্যার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ

শিরিন আবু আকলেহ। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহকে হত্যার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।

এ ঘটনায় আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলা হয়, 'এটি আন্তর্জাতিক আইন ও নিয়মের একটি সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।'

এ ছাড়া এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। বলা হয়েছে, ''বাংলাদেশ জোর দিয়ে বলছে যে, দখলদার শক্তি আবু আকলেহকে হত্যার জঘন্য অপরাধের জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়বদ্ধ।'

শিরিন আবু আকলেহ আরবের ঘরে ঘরে আক্ষরিক অর্থেই পরিচিত এক নাম। যুদ্ধ কিংবা শান্তি, যে কোনো সময়েই এই অঞ্চলের মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন তিনি। দেশের ভেতরে কিংবা এর গণ্ডি ছাড়িয়ে তার শান্ত অথচ সদর্প উপস্থিতি বসার ঘর থেকে শুরু করে যুদ্ধশিবির, সব জায়গা মুখর করে রাখত।

২ দশকেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনিদের নানা বিষয় এবং মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে আসছিলেন এই নারী। কাজের মধ্যেই গত ১১মে পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হন ৫১ বছর বয়সী এই সাংবাদিক।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, 'শিরিন ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের তথ্য নথিবদ্ধ করার দায়িত্ব পালন করছিলেন। বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের দাবির পাশাপাশি গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে দমিয়ে দেওয়ার জন্য ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী তার ওপর এই আক্রমন চালিয়েছে।'

এর পাশাপাশি বিবৃতিতে পূর্ব জেরুজালেমে শিরিনের শেষকৃত্যে অংশ নেওয়া শোকার্তদের ওপর ইসরায়েলি পুলিশের শক্তি প্রয়োগ ও 'নির্লজ্জভাবে' অসম্মান প্রদর্শনের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।

১৩ মে শিরিনের শেষকৃত্যে অংশ নেওয়া শোকার্ত মানুষের ওপর লাঠিচার্জ করে ইসরায়েলি বাহিনী। পাশপাশি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও ফিলিস্তিনের পতাকা প্রদর্শনের অভিযোগে মিছিল থেকে ৪ জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, 'হয়রানি ও অপমান ছাড়াই বিদেহী আত্মার জন্য শোক প্রকাশ ও প্রার্থনা করার অনুমতি দেওয়া শালীনতার ন্যূনতম প্রত্যাশা।'

এছাড়া অধিকৃত পশ্চিম তীরে কর্মরত সাংবাদিক ও মিডিয়া পেশাদারদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা প্রদানের জন্য  ইসরায়েলকে বাধ্য করা উচিত বলেও মন্তব্য করা হয় বিবৃতিতে।

Comments

The Daily Star  | English

Admin getting even heavier at the top

After the interim government took over, the number of officials in the upper echelon of the civil administration has become over three times the posts.

8h ago