মুখের গড়নে সানগ্লাসের ধরন

ছবি: সংগৃহীত

অনেকে মনে করেন, সানগ্লাস কেবলই ফ্যাশন অনুষঙ্গ, নিত্যব্যবহার্য প্রয়োজনীয় কিছু নয়। কিন্তু সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি আমাদের অজান্তেই চোখের নানাবিধ ক্ষতি করে যা পরবর্তীতে মারাত্মক আকার ধারণ করে। তাছাড়া সূর্যের আলোতে গেলে অনেকেরই মাথা ব্যথা জাতীয় সমস্যা দেখা দেয়। এসব হয় সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যেনতেন সানগ্লাস ব্যবহার করলেই হবে না। অবশ্যই ভালো মানের সানগ্লাস পড়তে হবে।

সূর্যের ক্ষতিকর অতি-বেগুনী রশ্মি চোখের ভেতরের অংশের ক্ষতি করে। এখানেই শেষ নয়। চোখের পাতা, চোখের চারপাশ, ত্বকে জ্বালাভাব, কালি পড়া, ভাঁজ পড়া ইত্যাদি সমস্যা থেকে বাঁচতে সানগ্লাস পরা প্রয়োজন। তাছাড়া বাইরের ধুলাবালি থেকে চোখকে রক্ষা করতেও সানগ্লাস ব্যবহার করা জরুরি।

ছবি: সংগৃহীত

সানগ্লাস কেমন হওয়া উচিৎ

সব সানগ্লাস সবাইকে মানায় না। সানগ্লাস পরলে মানুষের ব্যক্তিত্বে এক অন্য মাত্রা যোগ হয়। এক্ষেত্রে দেখেশুনে নিজেদের মুখমণ্ডলের আকৃতি অনুযায়ী সানগ্লাস বাছাই করতে হবে।

চলুন দেখে নেওয়া যাক মুখের গড়ন অনুযায়ী সানগ্লাসের ভিন্নতা-

গোলাকার মুখমণ্ডল

ছবি: সংগৃহীত

যাদের মুখের আকৃতি গোলাকার, তাদেরকে ওভাল আকৃতির সানগ্লাস বেশি মানায়। চারকোনা বা স্কয়ার আকৃতির সানগ্লাসের চাইতে গোলাকার আকৃতির সানগ্লাস তাদের ফেসের সঙ্গে মানিয়ে যায় দারুণভাবে।

লম্বাকৃতির মুখমণ্ডল

ছবি: সংগৃহীত

যাদের মুখের অবয়ব লম্বাকৃতির তাদেরকে চারকোনা সাইজের সানগ্লাস মানায় ভালো। লম্বা মুখের মানুষেরা যদি একটু বড় আকৃতির সানগ্লাসও ব্যবহার করে, সেটিও তাদের চেহারায় ভালো মানায়।

ছোট বা চ্যাপ্টা মুখমণ্ডল

ছবি: সংগৃহীত

মুখমণ্ডল চ্যাপ্টা কিংবা তুলনামূলক ছোট হলে চিকন বা পাতলা ফ্রেমের সানগ্লাস পড়লে চেহারার সঙ্গে চমৎকার মানায়।

সানগ্লাসের রঙ

সানগ্লাসের গাঢ় রং খুব ট্রেন্ডি। লাল, নীল, সবুজ, কমলার মতো রঙের ব্যবহার বেশি দেখা যায়। তবে কয়েকটা শেডের সানগ্লাসও আজকাল খুব চলছে। কালো রঙের সানগ্লাস সবসময়ই জনপ্রিয় কারণ যেকোনো সময় যেকোনো পরিবেশে কালো রঙ মানানসই।

সানগ্লাসের দাম

বাংলাদেশের প্রায় সব সানগ্লাসই বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। এমনকি বিদেশি ব্র্যান্ডের সানগ্লাসের আদলে তৈরি কমদামী রেপ্লিকাগুলোও। সানগ্লাসের দাম নির্ধারিত হয় মান, ডিজাইন ও মডেল অনুযায়ী। ১০০ টাকা থেকে লাখ টাকার পর্যন্ত সানগ্লাসও মার্কেটে আছে। তবে ৫০০ থেকে শুরু করে হাজারের ওপর যেসব সানগ্লাস পাওয়া যায় তা বিদেশি ব্র্যান্ডের সানগ্লাসের আদলে তৈরি। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে বাঁচাতে পারে এমন সানগ্লাসের দাম একটু বেশি। বাংলাদেশের ফুটপাতেও দোকানিরা সানগ্লাস নিয়ে বসেন। ফুটপাত থেকে ১৫০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যেই নন-ব্র্যান্ডের সানগ্লাস কেনা যাবে। সেগুলোর মধ্যে সাফারি, গলফ ভিশন, বেলং ইত্যাদি ব্র্যান্ডের সানগ্লাস উল্লেখযোগ্য। ব্র্যান্ডের সানগ্লাসের মধ্যে রে ব্যান, আরমানি, পোলিস, গুচি, ফাস্টট্র্যাক বেশি জনপ্রিয়। গুচির সানগ্লাসের দাম ৮ হাজার থেকে ১৪ হাজার টাকা। রে ব্যান ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা, আরমানি ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। কেলভিন ক্লেইন ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা, পোলিস আড়াই হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। এছাড়া ক্যারেরা, প্রাডা, পোর্শে, ডায়ার এগুলো পাওয়া যাবে ১ হাজার ৮০০ থেকে ৮ হাজার টাকায়।

কোথায় পাওয়া যাবে সানগ্লাস

বাংলাদেশের পায়ে হাঁটা ফুটপাত থেকে শুরু করে সব ধরনের চশমার দোকানেই সানগ্লাস বিক্রি হয়ে থাকে। সানগ্লাসের জন্য বিখ্যাত হলো এলিফেন্ট রোড। এখানে সব ধরনের সানগ্লাস পাওয়া যায়। ব্র্যান্ডের সানগ্লাস বেশি আমদানি হয় ইতালি থেকে। এছাড়া জাপান, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র থেকেও সানগ্লাস আসে। রাজধানীর বৃহত্তম বসুন্ধরা শপিং মলের পঞ্চম তলায় রয়েছে সানগ্লাসের বিশাল কালেকশন। সেখানে পাওয়া যায় লাল, নীল, সবুজ-বাহারি সব রঙ ও আকৃতির সানগ্লাস।

ব্যাকরণ মেনে যেমন কথা বলা সবসময় সম্ভব না। তেমনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেও কোনকিছু পছন্দ করা সম্ভব না। সেক্ষেত্রে নিজের পছন্দকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত সবার আগে।

Comments

The Daily Star  | English

Public Service Act: Ordinance out amid Secretariat protests

The government last night issued an ordinance allowing dismissal of public servants for administrative disruptions within 14 days and without departmental proceedings.

8h ago