জন্ম হার না বাড়লে জাপানের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে: মাস্ক

জন্মহার মৃত্যু হারের চেয়ে বেড়ে না গেলে জাপানের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ইলন মাস্ক।
ডেট্রয়েট মিশিগানে এক বৈঠকে বক্তব্য রাখছেন ইলন মাস্ক। ফাইল ছবি: রয়টার্স

জন্মহার মৃত্যু হারের চেয়ে বেড়ে না গেলে জাপানের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ইলন মাস্ক।

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ককে অনেকে 'টুইটার আসক্ত' হিসেবে অভিহিত করেছেন। টুইটারে প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের রসিকতা করেন তিনি।

সম্প্রতি টুইটার কিনে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া মাস্ক টুইটার বার্তায় লেখেন, 'যেটা সবাই জানে, সেটা আবারও বলার ঝুঁকি নিয়ে লিখছি, কোনো কারণে জন্ম হার মৃত্যু হারের চেয়ে হঠাৎ করে না বেড়ে গেলে জাপানের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। সেটা পৃথিবীর জন্য বড় ক্ষতির কারণ হবে।'

 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার এই বার্তায় অনেক মানুষ রাগ ও উপহাসমূলক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

তবে মজার বিষয় হল, এই রাগ ও উপহাসের শিকার মাস্ক নন, জাপান সরকারের উদ্দেশেই মূলত মানুষ তাদের বিষোদগার প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, সরকার জনসংখ্যার নিম্ন হার ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে।

২০০৮ সালে জাপানের জনসংখ্যা সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। কিন্তু এরপর থেকে নিম্ন জন্মহারের কারণে দেশটির জনসংখ্যা কমতে কমতে গত বছরে এসে ১২ কোটি ৫০ লাখে পৌঁছায়। সরকার বারবার সতর্কবাণী দিয়েছে এবং বিভিন্ন সময়ে সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছে, কিন্তু এতে কোনো সমাধান আসেনি।

তবে জনসংখ্যা কমতে থাকলেও, জাপান এখনও বিশ্বের ৩য় বৃহত্তম অর্থনীতি। সেমিকন্ডাক্টর, গাড়ি, ভিডিও গেম সহ বিভিন্ন শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে জাপান নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে।

সেন্টার ফর আমেরিকান প্রগ্রেসের জ্যেষ্ঠ ফেলো টোবিয়াস হ্যারিস বলেন, 'এ ধরনের একটি কথা টুইট করার মানে কী?

'জাপান বিলীন হয়ে যাবে এরকম কোনো আশংকা নেই, বরং জনসংখ্যা কমতে থাকায় সুদূরপ্রসারী সামাজিক বিচ্যুতি বড় চিন্তার কারণ', যোগ করেন তিনি।

অন্যেরা উল্লেখ করেন, কম জন্মহার শুধু জাপানের সমস্যা না। জার্মানিসহ আরও অনেক দেশে এই সমস্যা আছে। কোনো এক কারণে মাস্ক জাপানকে লক্ষ্য করে এ মন্তব্য করেছেন। সম্প্রতি জার্মানিতে টেসলার নতুন কারখানা চালু করেছেন মাস্ক।

তবে অনেক জাপানি জানান, এ ধরনের পরিস্থিতি খুব একটা বিস্ময়কর নয়। তারা সরকারের তীব্র সমালোচনা করে দাবি করেন, এ সমস্যার মোকাবিলায় তেমন কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। উদাহরণ হিসেবে তারা শিশুদের লালন পালনের জন্য আরও বেশি মাতৃসদন চালু করা এবং শিশু জন্ম দেওয়ার পর যাতে মায়েরা সহজে কর্মস্থলে ফিরতে পারেন, সে ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

7h ago