সবকিছু ‘নির্মল’ করার প্রত্যয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা

এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য ‘নির্মল করো মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে’৷ ছবি: প্রবীর দাশ

সবকিছু 'নির্মল' করার প্রত্যয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২ বছর পর আবারো বের হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা৷

আজ বৃহস্পতিবার বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন সকাল ৯টায় এ শোভাযাত্রা বের হয়৷

ছবি: প্রবীর দাশ

এবারই প্রথম ঢাবির চারুকলা অনুষদের বদলে টিএসসি থেকে শোভাযাত্রা বের করা হলো৷ যা ঢাবির উপাচার্যের বাসভবন এলাকা ঘুরে আবারো টিএসসিতে এসে শেষ হবে৷ চলমান মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য এই পরিবর্তন আনা হয়েছে৷

ছবি: প্রবীর দাশ

এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য হলো 'নির্মল করো মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে'৷

ছবি: প্রবীর দাশ

শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ।

ছবি: প্রবীর দাশ

এবারের শোভাযাত্রায় দেখা মিলছে ৪টি শিল্প কাঠামোর। এই ৪টি অনুষঙ্গ হচ্ছে টেপা পুতুল, মাছ, পাখি ও ঘোড়া।

ছবি: প্রবীর দাশ

এবারের শোভাযাত্রা প্রসঙ্গে চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'করোনার কারণে আমাদের জীবনের ছন্দ হারিয়ে গিয়েছিল। পুনরায় স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসা ধরে রাখার প্রত্যাশায় এবারের শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য হয়েছে 'নির্মল করো মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে'।

ছবি: প্রবীর দাশ

১৯৮৯ সালে চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো বের করা হয়েছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা। সে বছরই লোকজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয় এই আনন্দ শোভাযাত্রা। প্রথম শোভাযাত্রায় ছিল পাপেট, ঘোড়া, হাতি। তারপরের বছরে চারুকলার সামনে থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। এ শোভাযাত্রায়ও নানা ধরনের শিল্পকর্মের প্রতিকৃতি স্থান পায়। এরপর থেকে এটি বাংলা বর্ষবরণের অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে। তবে প্রথম দিকে এর নাম 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' ছিল না। ১৯৯৬ সাল থেকে চারুকলার এই আনন্দ শোভাযাত্রা 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' নামকরণ করা হয়। ২০১৬ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ করে মঙ্গল শোভাযাত্রা৷

Comments

The Daily Star  | English

BNP proposes term limit for PM, reinstating caretaker government

The party presented 62 proposals to the Constitution Reform Commission

1h ago