রেকর্ড রান তাড়ার চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশ
ফলোঅন না করিয়ে দ্রুত রান তুলে বাংলাদেশকে বিশাল চ্যালেঞ্জে ফেলার পরিকল্পনা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। সেই কাজটা তারা করতে পেরেছে। বাংলাদেশকে চারশো ছাড়ানো লক্ষ্য দিয়েছে ডিন এলগারের দল।
পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে প্রোটিয়ারা ব্যাট করল স্রেফ ৩৯.৫ ওভার। ১৭৬ রানে ৬ উইকেট পড়তেই ব্যাটসম্যানদের ড্রেসিংরুমে ডেকে পাঠান এলগার। এতে করে স্বাগতিকদের লিড দাঁড়াল ৪১২ রানের। ম্যাচ জিততে তাই রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশের।
ঘরে বাইরে ২১৭ রানের বেশি তাড়া করে জেতার নজির নেই মুমিনুল হকদের। টেস্ট ইতিহাসেই ৪১৩ রানের বেশি তাড়া করে জেতার নজির আছে আর কেবল দুটি। উইকেটের কন্ডিশন, ম্যাচের পরিস্থিতি আভাস দিচ্ছে বাংলাদেশের কাজটা হবে পাহাড়সময় কঠিন।
দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৫৩ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ২১৭ রানে গুটিয়ে ফলোঅনে পড়ে বাংলাদেশ। তবে সফরকারীদের ফলোঅন না করিয়ে নিজেরাই ব্যাট করতে নামে। ভাবনায় ছিল বোলারদের বিশ্রাম দেওয়া, আরও কিছু রান করে প্রতিপক্ষের উপর চাপ বাড়ানো। সেই চিন্তায় বলা যায় অনেকটা সফল তারা।
২১৭ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর ব্যাট করতে নেমেই আগ্রাসী হন প্রোটিয়া দুই ওপেনার সেরেল এরউইয়া আর ডিন এলগার। এরউইয়া অবশ্য ফিরতে পারতেন ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই। ইবাদত হোসেনের বলে পয়েন্টে বল দেখতে না পেয়ে তার ক্যাচ ছেড়ে উল্টো আহত হন মেহেদী হাসান মিরাজ। স্ট্রেচারে করেও মাঠ থেকে বের করতে হয়েছিল তাকে। পরে ফিরে এসে বল করেও সুবিধা করতে পারেননি।
উদ্বোধনী জুটিতে ৬০ রান আসার পর দ্বাদশ ওভারে সাফল্য পায় বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলামের বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে কাটা পড়েন ২৯ বলে ২৬ করা এলগার।
কিগান পিটারসেন ক্রিজে এসে কিছুটা ছিলেন রয়েসয়ে। এরউইয়া বাড়াচ্ছিলেন রান। এই জুটি মনে হচ্ছিল সেশন পার করে দেবে। সেশনের একদম শেষ দিকে তাইজুলের আরেক আঘাতে এলবিডব্লিউতে বিদায় হয় ১৪ করা পিটারসেনের।
চা-বিরতির পর নেমেই এরউইয়ার উইকেট পেয়ে যায় বাংলাদেশ। খালেদ আহমেদের বলে শর্ট মিড অনে মুমিনুলের হাতে ধরা দেন এরউইয়া। থিতু হওয়ার আগে তাইজুলের বলে রায়ান রিকেলটনও একই জায়গায় ধরা দেন। টেম্বা বাভুমা এক প্রান্ত আগলে রাখেন, কাইল ভেরেইনা বাড়ান দ্রুত রান। সুইপের চেষ্টায় মিরাজের বলে কাটা পড়েন বাভুমা। এরপর ভিয়ান মুল্ডার এসে ৬ রান করে ফিরতেই ইনিংস ঘোষণার ডাক দেন এলগার।
Comments