বাংলাদেশকে ফলোঅন করালো না দক্ষিণ আফ্রিকা

লাঞ্চের আগে ৭ উইকেট হারিয়ে ফলোঅনের দোয়ারে ছিল বাংলাদেশ। লাঞ্চের পর বিন্দুমাত্র প্রতিরোধ গড়ার মানসিকতা দেখাতে পারেননি টেল এন্ডাররা। উচ্চ বিলাসী শটে আত্মাহুতির মিছিলে আর কেবল ২৬ বল টিকেছেন তারা। ফলোঅনে পড়লেও বাংলাদেশকে আবার ব্যাট করতে পাঠায়নি স্বাগতিকরা। বোলারদের বিশ্রাম দিতে নিজেরা ব্যাট করতে নেমেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২১৭ রানে গুটিয়ে ফলোঅনে পড়ে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের ৪৫৩ রান থেকে মুমিনুল হকের দল পিছিয়ে আছে ২৩৬ রানে। স্বাগতিকরা ফলোঅন না করানোয় বিশাল এক রানের বোঝা চাপতে যাচ্ছে সফরকারীদের উপর।

বাংলাদেশকে গুটিয়ে দিতে পেসার ভিয়ান মুল্ডার নেন ২৫ রানে ৩ উইকেট, ৩৯ রানে ৩ শিকার ধরেন অফ স্পিনার সাইমন হার্মার।  বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজ ৫৭ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট, পেসার ডোয়াইন অলিভিয়ার ৩৯ রানে পান ২ উইকেট। পেসাররা আগের দিন উইকেট নিলেও এদিন রাজত্ব করেন স্পিনাররাই।

৭ উইকেটে ২১০ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতি থেকে ফেরার পর তাইজুল ইসলাম- মেহেদী হাসান মিরাজদের দেখা যায় তাড়াহুড়ো। হার্মারের বলে উঠিয়ে মারার চেষ্টায় সহজ ক্যাচে বিদায় নেন ১৪ বলে ৫ রান করা তাইজুল। পরের ওভারে মহারাজকে ছক্কা পেটাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা দেন ৩৫ বলে ১১ করা মিরাজ।  হার্মারের বলে ইবাদত হোসেনও তেমন এক চেষ্টায় টানেন ইতি।

দিনের শুরুটা দারুণ করেছিল বাংলাদেশ। আগের দিনের ৫ উইকেটে ১৩৯ রান নিয়ে নেমে প্রতিরোধ গড়েছিলেন মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলি। প্রথম ঘণ্টায় কোন বিপর্যয় আনতে না দিয়ে দলকে ভরসা দিচ্ছিলেন তারা।

তবে দুজনেই ফিরেছেন বাজেভাবে। বিশেষ করে মুশফিকের আউট ছিল অতি দৃষ্টিকটু। লাঞ্চের ঠিক আগে ফিফটি তুলার পর পরিস্থিতির বিবেচনা না করে অবিশ্বাস্যভাবে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে বোল্ড হন তিনি। এর আগে ইয়াসির ফেরেন বোলার মহারাজকে ক্যাচ দিয়ে।

রোববার পোর্ট এলিজাবেথে তৃতীয় দিনের শুরুতে হানা দেয় বৃষ্টি। তবে তা দ্রুত থেমেও যায়। নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট পর শুরু হওয়া ম্যাচের প্রথম তিন বলই বাউন্ডারিতে পাঠান ইয়াসির। মুশফিক ছিলেন স্থির। রানের চাকা সচল রেখে দাপট দেখান ইয়াসির। তার মুন্সিয়ানায় জুটির পঞ্চাশ আছে ৮৪ বলে, যাতে ৩৫ রানই থাকে ইয়াসিরের।

দিনের প্রথম ঘণ্টায় বাংলাদেশ তুলে  ৪৪ রান, ইয়াসিরই এরমধ্যে করেন ৪০ রান। দ্বিতীয় ঘনটাতেও দৃঢ়তা দেখিয়ে প্রথম সেশনটা পার করার দিকে ছিলেন তিনি। নিজে ছিলেন ফিফটির দ্বারপ্রান্তে।

ভুলটা হয়ে যায় কেশব মহারাজের বলে। প্রোটিয়া এই বাঁহাতি স্পিনার দারুণ বল করেও উইকেট পাচ্ছিলেন না। রিভিউ নিয়ে ইয়াসিরকে ফেরাতে ব্যর্থ হওয়া মহারাজ অনেকটা উপহারই পেয়ে যান উইকেট। মহারাজের হালকা টার্ন করা বল ড্রাইভ করতে গিয়ে সোজা বোলারের হাতে ক্যাচ উঠান ইয়াসির। ৪৬ রানে থামে তার ৮৭ বলের ঝলমলে ইনিংস।

মুশফিক পুরো সকাল নিজেকে রাখেন গুটিয়ে। অতি সতর্ক পথে বাড়ান রান। ইয়াসির ফিরে যাওয়ার পর তিনিই ছিলেন দলের মূল ভরসা। সাইমন হার্মারকে চার মেরে ফিফটি করার পর অহেতুক এই রিভার্স সুইপের চেষ্টা থামায় তার ইনিংস। লাঞ্চের খানিক আগের সময়টা পার করে দিলেই চলত। হার্মারের বল রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটে নিতে  পারেননি। পরিস্কার বোল্ড হয়ে যান বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটার। 

Comments

The Daily Star  | English

10 ministries brace for budget cuts

The railway ministry, the power division, and the primary and mass education ministry will see the biggest chop.

9h ago