দারুণ প্রতিরোধের পর উইকেট ছুঁড়ে দিলেন ইয়াসির-মুশফিক

Yasir Ali Chowdhury
ছবি- টুইটার

ফলোঅনের শঙ্কা নিয়ে দিন শুরু করা বাংলাদেশ দল তাকিয়েছিল ইয়াসির আলি রাব্বি ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটের দিকে। তাদের ব্যাটে মিলছিল ভরসাও। বিশেষ করে ইয়াসির ছিলেন দাপুটে, প্রতিপক্ষের উপর চড়াও হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার অসময়ের বিদায় অসাধারণ সকালটাকে ভরিয়ে দেয় আক্ষেপে। এরপর লাঞ্চের ঠিক আগে মুশফিকের আত্মঘাতি শটে বিদায় আক্ষেপটা রূপ নেয় চরম হতাশায়।

৭ উইকেটে ২১০ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। ৪৬ রান করে আউট হয়ে ফিরেছেন ইয়াসির। টেস্টে নিজের ২৫তম ফিফটির পর পরই বিদায় নিয়েছেন মুশফিক।

স্বীকৃত ব্যাটসম্যানরা সবাই ফিরে যাওয়ায় ক্রিজে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এখনো ২৪৩ রানে পিছিয়ে আছে মুমিনুল হকের দল। ফলোঅন এড়াতে এখনো চাই ৪৪ রান।

রোববার পোর্ট এলিজাবেথে তৃতীয় দিনের শুরুতে হানা দেয় বৃষ্টি। তবে তা দ্রুত থেমেও যায়। নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট পর শুরু হওয়া ম্যাচের প্রথম তিন বলই বাউন্ডারিতে পাঠান ইয়াসির। মুশফিক ছিলেন স্থির। রানের চাকা সচল রেখে দাপট দেখান ইয়াসির। তার মুন্সিয়ানায় জুটির পঞ্চাশ আছে ৮৪ বলে, যাতে ৩৫ রানই থাকে ইয়াসিরের।

দিনের প্রথম ঘণ্টায় বাংলাদেশ তুলে  ৪৪ রান, ইয়াসিরই এরমধ্যে করেন ৪০ রান। দ্বিতীয় ঘন্টাতেও দৃঢ়তা দেখিয়ে প্রথম সেশনটা পার করার দিকে ছিলেন তিনি। নিজে ছিলেন ফিফটির দ্বারপ্রান্তে।

ভুলটা হয়ে যায় কেশব মহারাজের বলে। প্রোটিয়া এই বাঁহাতি স্পিনার দারুণ বল করেও উইকেট পাচ্ছিলেন না। রিভিউ নিয়ে ইয়াসিরকে ফেরাতে ব্যর্থ হওয়া মহারাজ অনেকটা উপহারই পেয়ে যান উইকেট। মহারাজের হালকা টার্ন করা বল ড্রাইভ করতে গিয়ে সোজা বোলারের হাতে ক্যাচ উঠান ইয়াসির। ৪৬ রানে থামে তার ৮৭ বলের ঝলমলে ইনিংস।

মুশফিক পুরো সকাল নিজেকে রাখেন গুটিয়ে। অতি সতর্ক পথে বাড়ান রান। ইয়াসির ফিরে যাওয়ার পর তিনিই ছিলেন দলের মূল ভরসা। সাইমন হার্মারকে চার মেরে ফিফটি করার পর অহেতুক এই রিভার্স সুইপের চেষ্টা থামায় তার ইনিংস। লাঞ্চের খানিক আগের সময়টা পার করে দিলেই চলত। হার্মারের বল রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটে নিতে  পারেননি। পরিষ্কার বোল্ড হয়ে যান বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটার। ম্যাচের পরিস্থিতিতে এই শট রীতিমতো অবিশ্বাস্য ব্যাপার। 

Comments

The Daily Star  | English

10 ministries brace for budget cuts

The railway ministry, the power division, and the primary and mass education ministry will see the biggest chop.

9h ago