ওরা খুব বাজেভাবে অ্যাবিউজ করছিল: মুমিনুল
২৭৪ রান তাড়ায় মাত্র ৫৩ রানে গুটিয়ে বিব্রতকর হারের পর প্রতিপক্ষের উপর গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটাররা শুধু স্লেজিং নয় তাদেরকে বাজেভাবে 'অ্যাভিউজ' করেছেন।
সোমবার ডারবান টেস্টের শেষ দিনে বাংলাদেশের সমীকরণ ছিল কঠিন। ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ম্যাচ জিততে দরকার ছিল আরও ২৬৩ রান। ম্যাচ বাঁচাতে খেলতে হতো ৯০ ওভার। কিন্তু প্রথম ঘনটাতেই শেষ হয়ে যায় খেলা। ৫৭ মিনিট ব্যাট করে ৭৮ বলেই বাকি সব উইকেট খুইয়ে ২২০ রানে ম্যাচ হারে সফরকারীরা।
এমন হারের পর সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল প্রতিপক্ষের আচরণ নিয়ে সোচ্চার হন, 'দেখেন স্লেজিং তো হয় মাঠে, স্লেজিং হবে এটা স্বাভাবিক। স্লেজিং মাঝে মাঝে যদি অ্যাবিউজের জায়গায় চলে যায় সেটা খুব খারাপ। আমার মনে হয় মাঝে মাঝে ওরা অ্যাবিউজ করছিল খুব বাজেভাবে। যেটা আম্পায়ারও ওইভাবে নোটিস করেনি।'
তবে কি ধরণের অ্যাবিউজ তা পরিষ্কার করেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক, 'এইগুলা জিনিস শেয়ার করা যাবে না। আম্পায়াররা হয়ত ওইভাবে খেয়াল করেনি।'
এই ব্যাপারে ম্যাচ রেফারির কাছেও আনুষ্ঠানিক কোন অভিযোগ করেনি বাংলাদেশ দল, 'এইগুলা এখনো কোন কিছু ওইভাবে জানানো হয়নি।'
এই ম্যাচে ফিফটি-ফিফটি সিদ্ধান্তগুলো বাংলাদেশের পক্ষে না আসায় হতাশা জানিয়েছিলেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। পারিবারিক কারণে এই সিরিজ না খেলে সাকিব আল হাসানও টুইট করে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে ফের নিরপেক্ষ আম্পায়ার ফিরিয়ে আনার দাবি জানান, মুমিনুলের কথাতেও আবার সেই প্রতিধ্বনি, 'আম্পায়ার নিয়ে যেটা বললেন আমাদের হাতে নেই। আইসিসির এইগুলো জিনিস নিয়ে চিন্তা করা উচিত, নিরপেক্ষ আম্পায়ারিং নিয়ে আসা উচিত কোভিডের পর। কারণ কোভিড তো সেভাবে নেই। আইসিসি এই জিনিসগুলো দেখা উচিত।'
তবে ম্যাচে এমন হারের পেছনে প্রতিপক্ষের 'অ্যাবিউজ' নয়, নিজেদের খারাপ খেলাকেই কারণ হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন মুমিনুল। তার মতে প্রথম চারদিন ম্যাচে থাকলেও শেষ দিনে গিয়ে লাগামটা হাতছাড়া করে ফেলেন তারা, 'আমরা পাঁচদিনই খারাপ খেলেছি তা না, কেবল শেষ দিনই একটু বাজে খেলে ফেলেছি। যে কারণে ম্যাচটা আমাদের কাছ থেকে চলে গেছে। আর টেস্ট ক্রিকেটে আপনারা জানেন একদিন স্লিপ করলে ফেরাটা কঠিন।'
'আমার মনে হয় মানসিকভাবে আরও শক্ত হয়ে আমরা ফিরতে পারব।'
Comments