দক্ষিণ আফ্রিকাকে কত রানের মধ্যে আটকাতে পারবে বাংলাদেশ?
টস জিতে স্বাগতিকদের ব্যাট করতে পাঠিয়ে প্রথম সেশনে হতাশায় পুড়েছিল বাংলাদেশ। নিজেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে হয়ত বাড়ছিল আক্ষেপ। কিন্তু ওপেনিং জুটি ভাঙার পর ঘুরে দাঁড়ায় দল। দ্রুত ৪ উইকেটও তুলে নেয়। যদিও প্রতিরোধ গড়েছেন টেম্বা বাভুমা আর কাইল ভেরেইনা। ৪ উইকেটে ২৩৩ রানের সঙ্গে আর কত রানের মধ্যে প্রোটিয়াদের আটকানো সম্ভব? কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানিয়েছেন নিজেদের প্রত্যাশা।
ডারবানে প্রথম দিনে কিছুটা এগিয়েই আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪ উইকেট পড়লেও ২৩৩ রান এসে যাওয়ায় তারাই সুবিধা জনক অবস্থানে। তবে এই ছবি দ্রুত বদলে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে মুমিনুল হকের দলকে নিতে হবে উইকেট।
প্রথম দিনের খেলা শেষে ডমিঙ্গো জানান শেষ সেশনে খুব উইকেট না পেলেও আঁটসাঁট বল করতে পেরেছেন তারা। দ্বিতীয় দিনে পরিকল্পনা অনুযায়ী হাঁটলে আর ১০০ রানের মধ্যে প্রতিপক্ষে আটকানো সম্ভব। তেমনটা হলে ম্যাচের লাগাম থাকবে বাংলাদেশের দিকে, 'আমার মনে হয় শেষ সেশনে আমরা আঁটসাঁট বল করেছি। নতুন বলের কিছু উইকেট পেলে ভাল হতো। তবে যতটা সম্ভব পরিকল্পনা সহজ রাখতে চাই। সকালেও ধারাবাহিক হতে হবে। ওদের ৩০০-৩২০ রানের মধ্যে আটকালে আমরা লড়াইয়ে থাকব।'
শেষ দুই সেশনে ভাল বল করলেও সকালটা ছিল হতাশার। তিন পেসারই প্রচুর আলগা বল করেছেন। তাতে ডিন এলগার, সেরেল এরউইয়ার রান বের করা হয়েছে সহজ। শুরুতে ওইরকম আলগা বোলিংয়ের কারণ হিসেবে অনভিজ্ঞতাকে দায় দিচ্ছেন ডমিঙ্গো, 'আমাদের পেসাররা কিন্তু অনভিজ্ঞ। খালেদ চতুর্থ টেস্ট খেলছে। ইবাদত সবচেয়ে অভিজ্ঞ তাও ১২ টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। সে শেষ টেস্ট খেলেছে তিন-চার মাস আগে।'
'প্রথম সেশনে ছেলেরা শিখছে। স্নায়ু চাপে সামলাছে পরে। ওরা ভেবেছিল উইকেটে সহায়তা আছে, সেজন্য এলোমেলো হয়ে পড়েছিল। লাঞ্চের পর দারুণভাবে ফিরে আসে।'
তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেন আর খালেদ আহমেদ। মূলত তিন পেসারকেই দ্বিতীয় দিনে সকালে রাখতে হবে বড় ভূমিকা।
Comments