মিরাজের করা ‘স্পেশাল’ রান আউট ডমিঙ্গোর চোখে অন্যতম সেরা
অসাধারণভাবে ঝাঁপিয়ে বল ঠেকানোর পর বসে থাকা অবস্থাতেই ক্ষিপ্র গতিতে ঘুরে নিখুঁত থ্রো। কিগান পিটারসেন হয়ে পড়েছিলেন হতভম্ব। ডারবানে চোখ ধাঁধানো এক রান আউটে আলো কেড়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দিনের খেলা শেষে তার প্রশংসায় ভাসলেন বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
দ্বিতীয় সেশনে তখন ৪৬ ওভারের খেলা চলছে। দুই ওপেনারকে হারানোর পর ফের এগিয়ে চলছিল প্রোটিয়া ইনিংস। তৃতীয় উইকেটে টেম্বা বাভুমা- পিটারসেন মিলে দিচ্ছিলেন বড় কিছুর আভাস। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান মিরাজ।
তাসকিন আহমেদের বলটা পয়েন্টের দিকে ঠেলে দৌড় দিয়েছিলেন বাভুমা। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ দক্ষতায় বল ঠেকান মিরাজ। এই পর্যন্ত হলেও একটা তালি পেতেন মিরাজ। কিন্তু তিনি করে ফেললেন আরও বড় কিছু। নন স্ট্রাইকিং প্রান্ত থেকে স্ট্রাকিং প্রান্তের দিকে ছুটে যাওয়া পিটারসেনকেই টার্গেট করে দ্রুত ঘুরে বসেই করলেন থ্রো।
দুরূহ কোণ থেকে করা তার থ্রো সরাসরি ভেঙ্গে দেয় স্টাম্প। ১৯ রানে থাকা পিটারসেনের চোখে-মুখে তখন অবিশ্বাসের ছবি। অন্যদিকে অবিশ্বাস্য আনন্দে ছুটলেন মিরাজ, ছুটলেন বাকিরা।
বিশ্বের নামকরা ফিল্ডারদের কাছ থেকে এরকম রানআউট দেখা গেলেও বাংলাদেশের বাস্তবতায় তা একদম বিরলই। মিরাজ সেই কাজটা করে ফেলায় উচ্ছ্বসিত প্রশংসা ডমিঙ্গোর, 'আমার দেখা অন্যতম সেরা। ব্যাটিং-বোলিং এবং ফিল্ডিং মিলিয়ে সে আমাদের জন্য চিত্তাকর্ষক ক্রিকেটার। দারুণ কিছু ক্যাচ নেয় সে। মাঠে তার উপস্থিতি, শরীরী ভাষাও দুর্দান্ত। এটা একটা স্পেশাল রানআউট যা খেলায় আমাদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে এনেছে। দেখার জন্য দারুণ ব্যাপার ছিল।'
বৃহস্পতিবার প্রথম টেস্টে টস জিতে প্রোটিয়াদের আগে ব্যাট করতে দিয়েছিল বাংলাদেশ। তাদের দুই ওপেনার ডিন এলগার আর সেরেল এরউইয়া মিলে আনেন শতরানের জুটি। এরপর খেলায় ফিরে বাংলাদেশ। ১৮০ রানে ৪ উইকেট ফেলার পর ঘুরে দাঁড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দিনশেষে ৪ উইকেটে ২৩৩ রান তুলেছে তারা।
Comments