দ্বিতীয় সেশনে খেলায় ফিরল বাংলাদেশ
নির্বিষ প্রথম সেশনের পর দ্বিতীয় সেশনেই ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশ। সৈয়দ খালেদ আহমেদ ফেরালেন ডিন এলগারকে। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বিদায় নিলেন সেরেল এরউইয়া। তবে একটি রিভিউ না নেওয়ার আক্ষেপে পুড়তে যাচ্ছিল মুমিনুল হকের দল। মিরাজের দারুণ থ্রো সেই আক্ষেপ আর বড় হতে দেয়নি।
ডারবানে বৃহস্পতিবার প্রথম সেশনে বিনা উইকেটে ৯৫ রান তুলে ফেলেছিল প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় সেশনে তারা যোগ করল আরও ৭০ রান। তবে হারাল তিন উইকেট। ৩ উইকেটে ১৬৫ রান নিয়ে চা-বিরতিতে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। টেম্বা বাভুমা ২২ ও অভিষিক্ত রায়ান রিকেলটন অপরাজিত আছেন ১১ রান নিয়ে।
লাঞ্চের পর উইকেট পেতে মরিয়া বাংলাদেশ শুরুতেই একটি রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হয়। লাঞ্চের ঠিক আগে লিটন দাসের হাতে জীবন পাওয়া এরউইয়াও খচখচানি বাড়াতে থাকেন। ওপেনিং জুটিতে শতরান পেরিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
ফিফটি তুলে বড় কিছুর আভাস দিচ্ছিলেন এলগার। খালেদ তাকে ধরেন শিকার। দলের ১১৩ রানে খালেদের কিছুটা লাফানো বল গ্লাভস স্পর্শ করে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে জমা দেন এলগার। ১০১ বলে ৬৭ রান আসে তার ব্যাটে। পরের ওভারেই এরউইয়ার উইকেট পেয়ে যায় বাংলাদেশ।
মিরাজের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল স্টাম্পে টেনে ফেরেন ৪১ করা এরউইয়া। ৩২ রানে জীবন পেয়ে আর কেবল ৯ রান যোগ করেন তিনি।
এরপর টেম্বা বাভুমার সঙ্গে জুটি গড়ে উঠে কিগান পিটারসেনের। দুজনের জুটিতে যখন চিন্তা বাড়ছিল তখনই এসেছিল সুযোগ। ইনিংসের ৪২তম ওভারে তাসকিনের নতুন স্পেলে ড্রাইভের চেষ্টায় পরাস্ত হয়েছিলেন পিটারসেন। ক্যাচ নিয়েছিলেন লিটন। জোরালো আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেননি, নিজেদের মধ্যে আলাপের পর রিভিউ আর নেয়নি বাংলাদেশ। রিপ্লেতে দেখা যায় রিভিউ নিলে ১৮ রানেই থামতে হত পিটারসেনকে।
অবশ্য এরপর আর ১ রান যোগ করা হয়েছে তার। ৪৬তম ওভারে বাংলাদেশের আক্ষেপ কমান মিরাজ। তাসকিনের দিকে পয়েন্টের দিকে এক রান নিতে গিয়েছিলেন বাভুমা। সাড়া দেন পিটারসেন। মিরাজ ঝাঁপিয়ে বল ধরে দারুণ থ্রোতে সরাসরি ভেঙ্গে দেন স্টাম্প। ফিরে যান পিটারসেন।
এর আগে উইকেটে কিছুটা ঘাস আর আর্দ্রতা দেখতে পেয়ে টস জিতে বোলিং নেন মুমিনুল। কিন্তু নির্বিষ বোলিংয়ের ফায়দা তুলে প্রোটিয়ারা ছুটে দুর্বার গতিতে। এলগার-এরউইয়া মিলে প্রথম সেশন করে নেন নিজেদের।
Comments