মনে হচ্ছিল মিনি ঢাকায় আছি: তামিম

ঢাকা থেকে প্রায় নয় হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্ক স্টেডিয়াম। কিন্তু বুধবার ঠিক বোঝার উপায় ছিল না স্টেডিয়ামটি জোহানেসবার্গে না-কি ঢাকায়। স্টেডিয়ামে উপস্থিত চিৎকারে মনে হয়েছিল যেন খেলাটা হচ্ছে ঢাকারই কোনো স্টেডিয়ামে।

অফিশিয়ালি হয়তো এ সিরিজের স্বাগতিক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু স্টেডিয়ামের গ্যালারী দেখে তা বোঝার উপায় ছিল না। গ্যালারীতে পতাকা যা উড়েছে তার বেশির ভাগই ছিল বাংলাদেশের। গলা ফাটানোতে হাতে গোনা যা প্রোটিয়া সমর্থক এসেছেন তাদের আওয়াজই শোনা যায়নি। মাঠের মতো গ্যালারিতেও বিজয়ী দলটির নাম বাংলাদেশ।

তার উপর প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ জিতেছে টাইগাররা। দলকে উৎসাহ দিতে আশেপাশের অনেক শহর থেকেই থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঢল নেমেছিল সেঞ্চুরিয়নে। বিপুলসংখ্যক প্রবাসীর এই উপস্থিতি অভিভূত করেছে দলকে। টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবালও ভেবেছেন যেন ঢাকাতেই আছেন তিনি।

ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাবেক জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার পমি এমবাঙ্গুয়াও দর্শকদের কথা বললেন আলাদা করে। তামিমকে প্রশ্ন করে বলেন, 'এখানকার দর্শকদের দেখে আমার কাছে এটা অনেকটা মিরপুরের মতোই মনে হয়েছে। হয়তো মিরপুরের মতো ঠিক ততোটা উচ্চ শব্দে নয়। তবে তারা সবসময় সমর্থন করে গিয়েছে। তাই নয় কি?'

তামিমও উত্তর দিয়েছেন দারুণ, 'হ্যাঁ, সত্যি কথা বলতে কি, আমার মনে হচ্ছিল যেন মিনি ঢাকায় আছি। তারা অসাধারণ ছিল। অসাধারণ ছিল। রাসেল ডমিঙ্গো, আমাদের হেড কোচ যেমনটা বলে, তারাই আমাদের দলের দ্বাদশ ব্যক্তি। আমরা যেখানেই খেলি, তারা সবসময় পাশে থাকে। জিতি বা হারি... তারা সবসময় থাকে আমাদের পাশে।'

সেঞ্চুরিয়নে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়ে টাইগাররা। অথচ এর আগে প্রোটিয়াদের মাটিতে তাদের বিপক্ষে কোনো জয়ও ছিল না। স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইন আপ ধসিয়ে দিয়ে নায়ক তাসকিন আহমেদ। তামিম, লিটন দাস, সাকিব আল হাসানদের অবদানও কম নয়। তবে ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্তে চিৎকার করে তাদের পেছন থেকে প্রেরণা যুগিয়েছেন সমর্থকরা।

Comments

The Daily Star  | English

Multinational executives urge govt to ensure licensing, tax consistency

Yunus asked the executives to maintain transparency in businesses

52m ago