ইতিহাস গড়ার পথে বাংলাদেশের উড়ন্ত সূচনা
ইতিহাস গড়ার পথে টাইগাররা। চলতি সিরিজে মাঠে নামার আগে যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকায় কোনো জয়ই ছিল না, সেখানে সিরিজ জয়ের হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। সে লক্ষ্য শুরুটা সাবধানী ব্যাটিংয়ে শুরু করে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছে টাইগাররা।
বুধবার সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ১৫৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৪ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৭২ রান করেছেন বাংলাদেশ। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৪০ ও লিটন দাস ১৭ রানে উইকেটে আছেন। জিততে হলে আরও ৮৩ রান করতে হবে বাংলাদেশকে।
লক্ষ্যটা বড় না হওয়ায় শুরু থেকেই দেখে শুনে ব্যাট করছেন দুই ওপেনার তামিম ও লিটন। তবে প্রথম ওভারেই এ জুটি ভাঙতে পারতো। কাগিসো রাবাডার করা ইনিংসের চতুর্থ বলেই গ্যালিতে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন লিটন। কিন্তু সে সুযোগ লুফে নিতে পারেননি কেশভ মহারাজ।
জীবন পেয়ে তা দারুণভাবেই কাজে লাগাচ্ছেন লিটন। অধিনায়ককে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন তিনি। তামিম শুরুতে ধীর গতিতে ব্যাট করলেও ধীরে ধীরে খোলস ভাঙছেন। রাবাডার চতুর্থ ওভারে মেরেছেন টানা তিনটি বাউন্ডারি। প্রথম পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৫৮ রান তোলে টাইগাররা।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ওপেনার ইয়ানেমান মালান ও কুইন্টন ডি কক গড়েন ৪৬ রানের ওপেনিং জুটি। এ জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ফেরান ডি কককে। প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৫৭ রান পায় দলটি।
এরপর মঞ্চে আসেন তাসকিন আহমেদ। দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ তখন ৬৬। কাইল ভেরেইনাকে বোল্ড করে নিজের উইকেট শিকার শুরু করেন তিনি। এরপর স্কোরবোর্ডে আর ৩ রান যোগ হতে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা মালানকেও ফেরান। তাতেই দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে বাংলাদেশ।
তাসকিনের জোড়া শিকারের পর সাকিব আল হাসান এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে। আর দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে প্রথম ওভারেই রাসি ফন ডার ডাসেনকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। ফলে দলীয় ৮৩ রানেই ৫টি উইকেট হারিয়ে বড় চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দ্বিতীয় স্পেলে বল হাতে নিয়ে স্বাগতিকদের আরও বড় চাপে ফেলেন তাসকিন। একে একে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস, ডেভিড মিলার ও কাগিসো রাবাডাকে তুলে লেজ বের করে আনেন তিনি। ফলে ১৫৪ রানের বেশি করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওপেনার মালানই দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন। ৫৬ বলে ৭টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে কেশভ মহারাজের ব্যাট থেকে। ২৮ রান করেন তিনি। বাংলাদেশের পক্ষে ৩৫ রানের খরচায় একাই ৫টি উইকেট নেন তাসকিন। এছাড়া সাকিব পান ২টি উইকেট।
Comments