অমর একুশে হল শাখা ছাত্রলীগের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আনন্দ বাজারে ৭টি দোকান থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন অমর একুশে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এনায়েত এইচ. মনন এবং সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হাসান সোহাগ।

গত ২০ মার্চ দ্য ডেইলি স্টার অনলাইন সংস্করণে '১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ ঢাবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে, ৭ দোকান বন্ধ' শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই ঘটনা নিয়ে ইংরেজিতে ছাপা সংস্করণেও পরদিন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আনন্দ বাজারের দোকান মালিকদের কাছ থেকে এককালীন ১০ লাখ ও প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা করে চাঁদা দাবি এবং সেই টাকা না পেয়ে ৭টি দোকান বন্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে অমর একুশে হল শাখা ছাত্রলীগের ২ শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে। গত ৯ দিন ধরে দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে।

গতকাল রাতে পাঠানো প্রতিবাদ লিপিতে ছাত্রলীগের ২ নেতা বলেন, 'একটি বিশেষ অসাধু গোষ্ঠি ও কুচক্রীমহল ছাত্রদের জন্য অমর একুশে হল ছাত্রলীগের কার্যক্রমগুলোকে ভালোভাবে নিতে না পেরে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। যার বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখতে পাই সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণের সংবাদটিতে। প্রকাশিত সংবাদটির সকল তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ষড়যন্ত্রমূলক, উদ্দেশ্য প্রণোদিত।'

প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, 'আনন্দবাজারের বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বিএনপি-জামাতের সাবেক পদধারী এবং তাদের ছত্রছায়ায় আনন্দবাজারে সরকারি খাসজমি বেদখল, মসজিদের টাকা আত্মসাৎ, পতিতাবৃত্তিসহ নানা ধরনের অসামাজিক ও অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, সংবাদের বর্ণিত পরিস্থিতি অভিযোগকারীদের অন্তর্কোন্দলের ফলাফল। এর সঙ্গে অমর একুশে হল ছাত্রলীগের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অমর একুশে হল ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের চরিত্র হননের লক্ষ্যে ঘটনার সঙ্গে তাদের নাম যুক্ত করা হয়েছে।'

তারা আরও বলেন, 'অমর একুশে হল ছাত্রলীগ বিশ্বাস করে, কোনো অপশক্তি তাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। অমর একুশে হল ছাত্রলীগ এই মিথ্যা সংবাদের বিরূদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে কারণ অনুসন্ধানের দাবি জানাচ্ছে।'

প্রতিবেদকের বক্তব্য

দ্য ডেইলি স্টার একাধিক উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করেছে। সরেজমিন অনুসন্ধানে দোকান মালিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ দিয়ে অভিযোগ করেছেন।

অমর একুশে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এনায়েত এইচ মনন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে চাঁদার টাকা চেয়ে একটি মোবাইল নম্বর দোকান মালিকদের ফোনে মেসেজ করে পাঠান। তথ্য-প্রমাণ দ্য ডেইলি স্টারের কাছে সংরক্ষিত আছে।প্রতিবেদনে ছাত্রলীগ নেতাদ্বয়সহ সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে।

সাংবাদিকতার নিয়ম-নীতি মেনে সঠিক তথ্য যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

'ধারণা করা হচ্ছে, সংবাদের বর্ণিত পরিস্থিতি অভিযোগকারীদের অন্তর্কোন্দলের ফলাফল'

প্রতিবাদে উল্লিখিত অন্তর্কোন্দলের কোনো তথ্য-প্রমাণ দ্য ডেইলি স্টারের অনুসন্ধানে পাওয়া যায়নি। দোকান মালিকদের রাজনৈতিক পরিচয় বা অন্যান্য অভিযোগের বিষয়গুলো এই প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক বিধায় দ্য ডেইলি স্টার তা অনুসন্ধান করেনি।

দ্য ডেইলি স্টার কখনো 'মিথ্যা, বানোয়াট, ষড়যন্ত্রমূলক, উদ্দেশ্য প্রণোদিত' কোনো সংবাদ প্রকাশ করে না। সঠিক বা সত্য তথ্য নিশ্চিত হয়ে সকল পক্ষের বক্তব্যসহ সংবাদ প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদনটিও সেভাবেই তৈরি ও প্রকাশ করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
Reform commission reports' submission

We never got a chance to reform our state and politics like now. Let’s not waste it

Our initial study of the reports of the four commissions indicates that the recommendations are quite substantive.

11h ago