ইউক্রেন-রাশিয়ার ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধ’ বাংলাদেশে কী প্রভাব ফেলবে

বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ার দূরত্ব প্রায় ৪ হাজার ৩০০ কিলোমিটার আর ইউক্রেনের প্রায় ৬ হাজার কিলোমিটার। এত দূরে থেকেও পূর্ব ইউরোপীয় এই ২ দেশের দ্বন্দ্ব বাংলাদেশের বাজারে তেল, গমসহ অন্যান্য অনেক খাদ্যশস্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

অর্থনৈতিকরা বলছেন, এখানেই শেষ নয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এখন একটি 'অর্থনৈতিক যুদ্ধ'র রূপ নিয়েছে। যার আরও কঠিন প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশের অর্থনীতির উপর।

আমেরিকা, চীন বা ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ বছরে যে পরিমাণ আমদানি-রপ্তানি করে তার ১০ ভাগের ১ ভাগ করে রাশিয়ার সঙ্গে। আর ইউক্রেনের সঙ্গে তো আরও কম।

অংকের বিচারে মনে হতে পারে ইউক্রেনের যুদ্ধ বাংলাদেশে খুব একটা প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু, প্রকৃত পরিস্থিতি তা নয়। এই যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন ও রপ্তানি আয় কমে যেতে পারে, খাদ্যদ্রব্য ও জ্বালানির দামের পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতি অনেক বেড়ে যেতে পারে।

কীভাবে? এবার তা খোলাসা করছি।

জিডিপির আকার বিবেচনা করলে রাশিয়া বিশ্বের ১১ নম্বর বৃহত্তম দেশ। কিন্তু এই রাশিয়াই পৃথিবীর গম ও তুলার সবচেয়ে বড় উৎপাদক ও রপ্তানিকারক। বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ গম ও তুলা সরবরাহ করে রাশিয়া।

তেলের ক্ষেত্রে বলে হয় যে সারা দুনিয়ায় ব্যবহৃত প্রতি ১০ ব্যারেল তেলের এক ব্যারেল উৎপাদিত হয় বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশ রাশিয়ায়।

ইউরোপের একটি বড় অংশ অচল হয়ে যাবে যদি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনকারী দেশ রাশিয়া তার গ্যাস ও তেলের সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।

এত পরাক্রমশালী রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে কিন্তু বাংলাদেশ বেশ এগিয়ে আছে। রাশিয়া যে পরিমাণ গম, সার, স্টিল বা অ্যালুমিনিয়াম বাংলাদেশে পাঠায়, তারচেয়ে বেশি বা প্রায় সমপরিমাণের তৈরি পোশাক বাংলাদেশ থেকে নেয়।

ইউক্রেন থেকে বাংলাদেশ মূলত গম আমদানি করে এবং রপ্তানি করে তৈরি পোশাক, যার পরিমাণ খুবই কম।

এই যুদ্ধের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের সঙ্গে এই ২ দেশেরই বৈদেশিক বাণিজ্য দিন দিন বাড়ছিল।

বাংলাদেশ অর্থনীতি এই যুদ্ধের কারণে বর্তমানে একটি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। কীভাবে, তা বোঝার জন্য আগে জানতে হবে কীভাবে এই যুদ্ধ শুরু হলো এবং কীভাবে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি এত ঘোলাটে হয়ে গেলো।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার ইউক্রেন দখলের বহুদিনের চেষ্টার অংশ হিসেবে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি পূর্ব ইউক্রেনের দুটি অঞ্চল লুহ্যানস্ক এবং দানইয়াস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দেন এবং সেখানে সামরিক বাহিনী পাঠিয়ে আগ্রাসন শুরু করেন।

এই কাজের পর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপানসহ আরও কয়েকটি দেশ রাশিয়াকে দমানোর জন্য নেওয়া এ যাবতকালের সবচেয়ে কঠোরতম উদ্যোগটি নেয়।

তারা রাশিয়ার প্রথম সারির কয়েকটি ব্যাংকের ওপর সুইফট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয়। কেননা, রাশিয়া প্রতিদিন ৪ লাখ লেনদেন সম্পন্ন করে এই সুইফটের মাধ্যমে।

এই সুইফট বা Society for Worldwide Interbank Financial Telecommunication হচ্ছে ২০০টি দেশে ব্যবহৃত একটি আন্তর্জাতিক পেমেন্ট ম্যাসেজিং সিস্টেম, যা কোনো আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেনের তথ্য ওই অর্থের প্রেরক এবং প্রাপককে বার্তা বা মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়।

এ ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সেই সমমনা দেশগুলো রাশিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক একাউন্টগুলোও জব্দ করে দেয়।

সুইফটের দেখাদেখি ভিসা এবং মাস্টারকার্ডও রাশিয়ান অর্থনৈতিক লেনদেন করা বন্ধ করে দেয় এবং পৃথিবীর অন্যতম বড় শিপিং কোম্পানি মার্স্ক রাশিয়ায় পণ্য আনা-নেওয়া বন্ধ করে দেয়।

এরপর আমেরিকা ঘোষণা দেয়, তারা আর রাশিয়া থেকে তেল কিনবে না এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন তাদের আকাশপথে রাশিয়ান উড়োজাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়।

তখন রাশিয়াও পাল্টা কিছু ব্যবস্থা নেয়। তারা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, কানাডাসহ ৩২ দেশের উড়োজাহাজকে রাশিয়ার আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয়।

১৫ মার্চ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন নতুন আরও এক গাদা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের এত নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের কী আসে যায়? আসলে এই নিষেধাজ্ঞাগুলো অনেক ঘুরে ফিরে বাংলাদেশের ওপর প্রভাব ফেলছে।

বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাতের অর্ধেকের বেশি বা ৬৪ শতাংশ তৈরি পোশাক রপ্তানি হয় ইউরোপে। বলা হয়, ইউরোপে ব্যবহৃত প্রতি ৩টা ডেনিম বা জিন্সের পোশাকের একটি তৈরি হয় বাংলাদেশে।

এখন রাশিয়া যদি কোনো কারণে ইউরোপে তেল, গ্যাস রপ্তানি বন্ধ করে দেয় তবে ইউরোপের অর্থনীতিতে একটি মন্দাভাব চলে আসতে পারে। এতে করে ইউরোপীয়দের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাবে এবং কমে যাবে বাংলাদেশে তাদের দেওয়া নতুন অর্ডারের পোশাকের মূল্য এবং সংখ্যা। ফলে আবার ধস নামতে পারে বাংলাদেশের গার্মেন্টস ব্যবসায়।

আকাশপথের নিষেধাজ্ঞার কারণে দূরত্ব বেড়ে যাওয়ায় এশিয়াতে বা এশিয়া থেকে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে পণ্য পরিবহনের জন্য বাংলাদেশের খরচ অনেক বেড়ে যেতে পারে।

রাশিয়া ও বেলারুশ বিশ্বের সবচেয়ে বড় পটাশ সার সরবরাহকারী দেশ। এখন রাশিয়া থেকে এই সার বাংলাদেশে আসা বন্ধ হয়ে গেলে এই মৌসুমে হয়তো তার কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে আগামী মৌসুমে বাংলাদেশে সারের অভাব দেখা দিতে পারে এবং যার ফলে বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদনের ব্যয় বেড়ে খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়ে যেতে পারে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় গম সরবরাহকারী এই ২ পূর্ব ইউরোপিয়ান দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের সব গম সরবরাহকারী দেশ গমের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। যার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে এবং এই দাম আরও বাড়তে পারে।

বাংলাদেশ ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে প্রতি টন গম আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কিনেছিল ৩৩৪ দশমিক ৫০ ডলারে, যা মার্চে এসে দাঁড়ায় ৩৫৩ ডলারে।

এবার আসা যাক তেলে এবং প্রথমে ভোজ্যতেল।

বাংলাদেশে বছরে ২০ লাখ টনের মত ভোজ্যতেল লাগে। এর মধ্যে বাংলাদেশে উৎপাদন হয় ২ থেকে ৩ লাখ টন। আর বাকি পুরোটাই অর্থাৎ চাহিদার ৯০ শতাংশ পূরণ হয় আমদানি থেকে।

বাংলাদেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে তেলের বীজ কেনে, যদিও তা পরিমাণে কম। তবে সবচেয়ে বেশি অপরিশোধিত সয়াবিন কেনে আর্জেন্টিনা থেকে, আর সয়াবিনের বীজ কেনে ব্রাজিল থেকে।

গত কয়েক মাসে দক্ষিণ আমেরিকান এই দেশগুলোতে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে সয়াবিনের উৎপাদন কম হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন বীজের দাম ফেব্রুয়ারিতে এসে ৬৬০ ডলার প্রতি টন হয়ে যায়। আন্তর্জাতিক বাজারে যেটা জানুয়ারিতে ছিল ৬০৬ ডলার।

সয়াবিন তেলের দাম জানুয়ারিতে ছিল ১ হাজার ৪৭০ ডলার প্রতি টন, যা ফেব্রুয়ারিতে এসে দাঁড়ায় ১ হাজার ৫৯৬ ডলার।

অন্যদিকে পাম ওয়েলের সবচেয়ে বড় উৎপাদক ইন্দোনেশিয়া পাম ওয়েল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে ইউক্রেন ও আশেপাশের দেশ থেকে সূর্যমুখী তেল আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা থেকে বিশ্বব্যাপী পাম ওয়েলের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে।

জানুয়ারিতে যে পাম ওয়েলের দাম ছিল ১ হাজার ৩৪৫ ডলার প্রতি টন, সেটি ফেব্রুয়ারিতে এসে দাঁড়ায় ১ হাজার ৫২২ ডলার প্রতি টনে।

সয়াবিন ও পাম ওয়েলের দামের এই অবস্থা দেখে বাংলাদেশ এবং ভারতের অনেক অঞ্চলের মানুষ সরিষার তেল ব্যাবহার করা শুরু করলে এই তেলের দামও অনেক বেড়ে গেছে।

বাংলাদেশে মাসে ২ লাখ টনের মতো ভোজ্যতেল লাগে। রমজান মাসে তা প্রায় ৩ লাখ টন স্পর্শ করে এবং এ সময় তেলের দামও বেড়ে যায়।

এবার যুদ্ধকে পুঁজি করে তেলের এমন একটি কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে যে, সয়াবিন তেলের ৫ লিটার কন্টেনারের দাম ৭৪০-৭৫০ টাকা থেকে ৮২০-৮৩০ টাকা পর্যন্ত হয়ে যায় এবং এক পর্যায়ে খোলা তেলের দাম বোতলজাত তেলের থেকে বেশি হয়ে যায়।

এবার চোখ ফেরাই জ্বালানি তেলের দিকে।

করোনার আগমনের সময় আন্তর্জাতিক বাজারে যেখানে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ৫০ ডলারের ঘরে, তা ২০২২ সালের ৫ মার্চ ১৩৯ ডলার স্পর্শ করে। এতে করে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিবিদরা বলেছিলেন, এটি ২০০ ডলার পর্যন্ত যেতে পারে।

তবে এই দাম গত ১৫ মার্চে ৩ সপ্তাহের মধ্যে প্রথমবারের মতো ১০০ ডলারের নিচে নেমে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দাম কমার কয়েকটি কারণ আছে।

ইউক্রেনে যুদ্ধ লেগে যাওয়ার পর রাশিয়া ছাড়া অন্যান্য তেল উৎপাদনকারী দেশ, যেমন আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্য তেলের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। সেইসঙ্গে তেলের অন্যতম বৃহৎ আমদানিকারক দেশ চীনে আবার করোনার প্রকোপ দেখা দিলে নতুন করে লকডাউন দেওয়ায় সেখানে তেলের চাহিদা কমে গেছে। ফলে বাজারে তেলের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ম তামিম বলেন, তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আসলে এখন খুবই নাজুক অবস্থায় আছে। তাই তিনি তেলের দাম ২০০ ডলার স্পর্শ করার সম্ভাবনাকে এখনই বাদ দিতে রাজি নন।

তবে তেলের দাম বাড়তে থাকলে এটা বাংলাদেশে একটা প্রচণ্ড বিপর্যয়ের সৃষ্টি করবে। কারণ তখন বাংলাদেশ সরকারকে আরও বেশি ভর্তুকি দিতে হবে অথবা বাংলাদেশের বাজারে তেলের দাম বাড়াতে হবে। আবার তেলের দাম বাড়ালে পরিবহন বা বিদ্যুতের খরচ এত বেড়ে যাবে যে, তা জনমানুষের সক্ষমতার বাইরে চলে যাবে।

এখন দেশে তেলের দাম কত হবে তা নির্ভর করবে সরকারে ওই সিদ্ধান্তের ওপর যে, তারা কী পরিমাণ ভর্তুকি দিতে চায় আর কী পরিমাণ আমদানি করতে চায়।

আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে তেল গ্যাসের সরবরাহ ব্যাহত হলে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিদ্যুৎ উৎপাদন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এত জায়গায় দাম বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের আমদানি ব্যয় আরও বেড়ে যাবে। এমনিতেই বাংলাদেশ রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি করে। ২০২১ সালের প্রথমার্ধে এই আমদানি আর রপ্তানির পার্থক্য বা ঘাটতি রেকর্ড পরিমাণে বেড়ে গিয়ে ৮ বিলিয়ন ডলার স্পর্শ করেছিল।

এখন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের আমদানি ব্যয় আরও বেড়ে যাবে এবং এই ঘাটতি আরও বেড়ে গিয়ে ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান আরও কমে যাবে। সর্বোপরি আমদানি নির্ভর পণ্যের দাম বাংলাদেশে অনেক বেড়ে যেতে পারে।

সরকার এখন সবকিছুর মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কী করতে পারে?

অধ্যাপক ম তামিম বলছেন, দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এখন সরকারকে কিছু কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে। যেসব দেশ থেকে আমরা তেল, গ্যাস আমদানি করি, যেসব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছি, তাদের সঙ্গে আমাদের একটা সমঝোতা তৈরি করতে হবে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের সম্মানীয় ফেলো মুস্তাফিজুর রহমান সরকারকে এখন দেশের বাজারে নজরদারি এবং আন্তর্জাতিক মহলে আরও বেশি দরকষাকষির ওপর জোড় দিতে বলেছেন।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেনের মতে, এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ থেকে দীর্ঘমেয়াদী কোনো বিনিয়োগে যাওয়ার ব্যাপারে আরও বেশি সচেতন হওয়া।

Comments

The Daily Star  | English
India visa restrictions for Bangladeshi patients

A wake-up call for Bangladesh to reform its healthcare

India’s visa restrictions on Bangladeshi nationals, while initially perceived as a barrier, could serve as a wake-up call for Bangladesh to strengthen its healthcare system and regain the confidence of its patients.

12h ago